বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মাতৃত্বকালীন সেবায় সনামধন্য যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ও পরিছন্নতা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও সচেতন মহলের অভিযোগ এ মডেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ভেতরে বর্তমানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় অবাধে হাসপাতালের মধ্যে বিচরণ করছে কুকুর-বিড়াল।
মাঝেমধ্যে আক্রমণ করতে যাচ্ছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। হাসপাতালের অভ্যন্তরে হিংস্র পশুর এমন অবাধ বিচরণ হলেও কোনো মাথা ব্যথা নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের বহির্বিভাগে যাওয়ার সময় কুকুর দেখে ভয় পাই। তিনটি কুকুর মারামারি করছিল। পরে দেখি হাসপাতালের ফ্লোরে শুয়ে আছে। তাড়ালেও সরে না। পরে অন্য পথ দিয়ে আমরা বের হয়েছি।’
একই বিষয়ে অভিযোগ করেন হাসপাতালে ভর্তি এক রোগীর স্বজন সেলিম হোসেন। তিনি বলেন, ‘এত বড় একটি হাসপাতালে অনায়াসে কুকুর-বিড়াল ঢুকছে, তবে কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই! হাসপাতাল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেখেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, কুকুরগুলো এই হাসপাতালটির পরিবেশ নষ্ট করছে। কাউকে কাউকে কামড়াতে যাচ্ছে। তবুও এ কুকুরগুলো তাড়াতে কিংবা হাসপাতালে না ঢুকতে দেওয়ার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো আগ্রহ নেই।
জানা গেছে, সম্প্রতি চৌগাছা উপজেলা হাসপাতালে একটি সভা হয়। সেখানে চৌগাছার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিটির সদস্যরা। বিভিন্ন অনিয়মের কথাও প্রকাশ পেয়েছে। হাসপাতালের পরিবেশ ঠিক থাকছে না বলে কমিটির সদস্যরা ওই সভায় অভিযোগও করেছেন। চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুইশ রোগী চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান আবার অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
এ ব্যাপারে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লুৎফুর নাহার লাকি বলেন, হাসপাতালে লোকবল কম। তিনজন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। এর বেশি কিছু করার নেই।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)