সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ফাইল ছবি
জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে জাপানের অর্থনীতি ০.৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত সরকারি তথ্যে দেশটির অর্থনীতির এ চিত্র দেখা গেছে।
তবে পূর্বাভাস ছিল এই সংকোচর ০.৬ শতাংশ হতে পারে। সে হিসেবে এটি ভালো হলেও এই সংকোচন ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের পর প্রথম সংকোচন।
অক্টোবরে জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন সানায়ে তাকাচি। তিনি তার সরকারকে একটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজ প্রস্তুত করার দায়িত্ব দিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, অর্থমন্ত্রী সাতসুকি কাতায়ামা রোববার বলেছেন যে, এই প্যাকেজ ১৭ ট্রিলিয়ন ইয়েনের (১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি হবে।
জাপানের মন্ত্রিসভা শুক্রবার প্যাকেজটি অনুমোদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের মার্সেল থিয়েলিয়্যান্ট সতর্ক করেছেন যে তাইওয়ান সম্পর্কে তাকাচির মন্তব্যের পর চীনের সাথে বর্তমান উত্তেজনা ‘একটি পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্য বিবাদে’ পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
জিডিপির এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার আগে থিয়েলিয়্যান্ট বলেছিলেন, এটি বিভিন্ন পথে এগোতে পারে, তবে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো চীন বিরল খনিজের রপ্তানি সীমিত করতে পারে বা জাপানি রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, গাড়ি নির্মাতাদের (জাপানের) বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে, কারণ তারা চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির উত্থানের কারণে ইতোমধ্যেই ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছে।
গত ৭ নভেম্বর তাকাচি সংসদে বলেছিলেন যে, তাইওয়ানে সশস্ত্র আক্রমণ হলে ‘যৌথ আত্মরক্ষা’র অধীনে সেখানে সেনা পাঠানো যুক্তিযুক্ত হতে পারে।
উত্তেজনার জেরে গত সপ্তাহে চীন ও জাপান একে অপরের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এবং বেইজিং তার নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শও দেয়।
১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কয়েক দশক ধরে তাইওয়ান জাপানের দখলে ছিল। তবে বেইজিং জোর দিয়ে বলে যে তাইওয়ান তার ভূখণ্ডের অংশ এবং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নিতে তারা পিছপা হবে না।
চীন ও জাপান গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হলেও, পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সামরিক ব্যয় সংক্রান্ত টানাপোড়েন প্রায়শই তাদের সম্পর্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)