শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার এবার গরিবের আমিষ খ্যাত ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণেও পরিপূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে ডিমের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কালো থাবায় ডিমের মূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
সোমবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রতিদিনের চাহিদার চেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় ডিম সিন্ডিকেট ডিমের মূল্যবৃদ্ধি করে প্রান্তিক জনগণের পকেট কেটে লুটপাট করছে। ডিমের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ডিমের বাজারে বার বার অস্থিরতা সৃষ্টির ফলে কেবল নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সামর্থ্য না থাকায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন মাছ-মাংস কিনতে পারছেন না।
ন্যাপ নেতারা বলেন, সরকারি দলের লুটেরা গোষ্ঠীর মদদে ডিমের বাজারে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি দলের নেতারাই। তারা ভোক্তার পকেট কাটতে আলুর হিমাগারে অবৈধভাবে মজুত করছে ডিম। রাতারাতি সরবরাহ কমিয়ে অস্থির করা হয়েছে বাজার।
তারা আরো বলেন, ডিমের বাজারে শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। সিন্ডিকেটের মধ্যে ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ও কয়েকটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান জড়িত। তারা চাইলে মূল্যবৃদ্ধি করে দেয়। আবার তারা তাদের ইচ্ছাতেই মূল্য কমিয়ে দেয়।
প্রান্তিক খামারিরাও সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় মন্তব্য করে তারা বলেন, ডিমের বাজার নিয়ে সিন্ডিকেটের প্রশ্ন উঠলেও সেই সিন্ডিকেট ভাঙার কার্যকর উদ্যোগ নেই সরকারের। ফলে মাঝে মধ্যেই কথিত সিন্ডিকেটের থাবায় সাধারণ মানুষের প্রোটিনে টান পড়ছে। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে ডিম। সরকার দ্রুত ডিমসহ বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)