শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু এখন আবার বাড়ছে। এর কারণ বাজারের পুরোনো খেলোয়াড়রা আবার সক্রিয় হয়েছে।
একই ধরনের বক্তব্য ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানেরও। তিনি বলেন, এখন আবার আগের অবস্থায় চাঁদাবাজ ও সিন্ডিকেট ফিরে এসেছে। শুধুমাত্র ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর হাতবদল হয়েছে।
‘চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট ফিরে আসায় বাড়ছে দ্রব্যমূল্য’ শিরোনামে ডয়েচে ভেলেতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তাদের এই বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে- মোটা চালের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে পাঁচ-ছয় টাকা। এক সপ্তাহ আগে এক কেজি মোটা চালের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৪ টাকা, এখন তার দাম ৫২ থেকে ৬০ টাকা। মিনিকেট চালের দামও কেজিতে ছয় টাকা বেড়েছে। আলু আর পেঁয়াজের দাম কয়েক মাস ধরেই বেশি। আলুর কেজি এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ছাড়া আলু আমদানিতে থাকা তিন শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানিতে থাকা ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ তারপরও কমছে না এ দুইটি পণ্যের দাম।
বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম খান বলেন, চালের দাম কেন বাড়ছে জিজ্ঞেস করলে ব্যবসায়ীরা আপনাকে বলবে বাজারে ধান কম, তাই চালের দাম বেড়েছে। বন্যার কথাও বলবে তারা। কিন্তু আসল ঘটনা অন্য জায়গায়। এখন বাজারে ধান কম থাকলেও ধান আছে উত্তরাঞ্চলের চাতাল মালিকদের কাছে। তারা আগেই ধান কিনে স্টক করে রেখেছে। এখন তারা সুযোগ পেয়ে দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে। সর্বোচ্চ ৩০ জন চাতাল মালিক এটা নিয়ন্ত্রণ করছে।
‘তারা সরকার পতনের পর কয়েকদিন ভয়ে সক্রিয় হয়নি। তখন চালের দাম বাড়েনি। কিন্তু এখন তারা আবার সক্রিয় হয়েছে। তারা আগে ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রের লোক, এখন তারা ভোল পাল্টে নতুনদের লোক হয়ে সিন্ডিকেট শুরু করেছে। আগে বলতো জয় বঙ্গবন্ধু, এখন বলে জয় ইউনূস।’
সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে চালের বাজার আরও অস্থির হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)