বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতায় কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতেও কোনো বাধা নেই বলে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চ এই রায় দেন। এর আগে এর ওপর দীর্ঘ সময় শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এস এম ফরহাদ। তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
তার বিরুদ্ধে রিট করেন বিএম ফাহমিদা আলম, যিনি নিজেও ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী। অভিযোগ করেন— ফরহাদ নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য। তাই তার প্রার্থিতা গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ২৮ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করা হয়।
হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ডাকসুর নির্বাচন প্রক্রিয়া ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে আদেশ দেয়। এতে ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচন অনিশ্চয়তায় পড়ে।
এরপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চেম্বার আদালতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। সোমবার বিকেলে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করে, যা মঙ্গলবার পর্যন্ত কার্যকর ছিল। একইসঙ্গে আদালত নির্দেশ দেন, নিয়মিত বেঞ্চে দেওয়ানি বিবিধ আবেদন (সিভিল মিসলেনিয়াস পিটিশন) না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।
পরদিন মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন আদালতে জমা দেয়। বিকেলে আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে এবং উভয় পক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন।
প্রায় ছয় বছর পর তফসিল ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে সক্রিয় সংগঠনগুলো প্যানেল ঘোষণা করে বেশ জোরেশোরে প্রচার শুরু করে। স্বতন্ত্র প্যানেলও ঘোষণা করা হয়। তবে ভোটগ্রহণের সপ্তাহখানেক আগে ‘দ্বিতীয় পার্লামেন্ট’ খ্যাতি এই নির্বাচন নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা দেয়। তবে এই নির্বাচনের সব বাধঅ কেটে যাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)