শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চতুর্থ দিনের মতো ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এদিন বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে অগ্রহর হন তারা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে ৪টায় তারা মিছিল বের করেন।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ, চানখারপুল, বাটা সিগন্যাল, মৎস্য ভবন, মিন্টু রোড, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলা মোটর পেরিয়ে কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট অবরোধের কথা রয়েছে।
এর আগে গত ৬ জুলাই শাহবাগে এক সংবাদ সম্মেলনে আজকের সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা দেওয়া হয়। অর্ধদিবস ‘বাংলা ব্লকেড’ অনুযায়ী আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অবরোধ করার কথা রয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাইওয়ে এবং রেলপথও এই ব্লকেডের আওতায় থাকবে।
গত ৬ জুলাই শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়ক অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। যাকে বাংলা ব্লকেড হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যে কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুইদিন শাহবাগ, চানখারপুল, ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিন্টু রোড, মৎস্য ভবন অবরোধ করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ইডেন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট-সাইন্সল্যাব রোড অবরোধ করেন।
কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবি হলো
সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)