বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোনও কর্মসূচি নেই।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে সুজয় বিশ্বাস বলেন, গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তিনি বলেন, আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারো অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে চাইনি। নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমাধান করেছে, আমরা মনে করি তাতে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে।
তবে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের দাবির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে কিছু দাবি রয়েছে।
দাবিসমূহ হল-
১। অনতিবিলম্বে হল খুলে দিতে হবে।
২। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোনো ধরনের মামলা বা হয়রানি করা যাবে না।
৩। শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না।
৪। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে। আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং আমাদের দাবিসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোনও কর্মসূচি নেই। সারাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় জানাবো।
আমরা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করছি, সন্ত্রাস ও সহিংসতার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই এবং এটাকে আমরা ঘৃণা করি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে থাকা মাহমুদুল আলম রাজিব, ভূমিকা সরকার, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)