বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দীর্ঘ ৮৩ দিন সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর অবশেষে শুরু হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস-পরীক্ষাসহ নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকেই অনেক বিভাগের ক্লাস শুরু হয়। এদিন সব বিভাগের ক্লাস শুরু না হলেও কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের বিভাগসহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের বেশির ভাগই ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
দীর্ঘদিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে ক্যাম্পাসে। আবারও দেখা যাচ্ছে সেই চিরচেনা ক্লাসের ফাঁকে বটতলার আড্ডা এবং ভিসি চত্বর ও কার্জন হল এলাকায় দোতলা লাল বাসের দীর্ঘ সারি। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ পড়াশোনা, গবেষণা। কিন্তু এতদিন সেটা ছাড়া বাকি সবই ছিল। এখন এটা শুরু হওয়ায় স্বস্তি।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল সুলতানা রিমা বলেন, আজ দীর্ঘদিন পর টানা চারটা ক্লাস। এতদিনে আমি যে ছাত্রী সেটাই ভুলতে বসেছিলাম। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে আমাদের সেশনজটসহ আরও নানা চিন্তার উদ্রেক হয়েছে। আমরা আশা করি দ্রুতই সব স্বাভাবিক হবে। পাশাপাশি সেশনজট কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুলতানুল আরেফিন বলেন, প্রথম বর্ষের প্রথম ক্লাসের মতো আমার অনুভূতি হচ্ছে। কতদিন পর সবাই একসঙ্গে হয়েছি। সবার আন্দোলন-সংগ্রামের অভিজ্ঞতার কথা শুনছি। বেশ ভালোই লাগছে। কতদিন পড়াশোনা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ছিলাম। আবারও সেই ক্যাম্পাসের চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সবসময় স্বাভাবিক পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকুক। এতটুকুই আমাদের চাওয়া।
ক্লাস শুরুর ব্যাপারে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমাদের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। উপাচার্যসহ আমরা বেশ কয়েকটি অনুষদে ঘুরেও দেখলাম ক্লাস কার্যক্রম। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। খুব দ্রুতই আমাদের নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাসও আমরা শুরু করে দেবো।
চলতি বছরের জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়। এরপর কোটাবিরোধী আন্দোলনের কারণে ওই মাসের ১৭ তারিখ হলসহ সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে ৭ আগস্ট থেকেই হলে উঠতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা হলে উঠলেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)