বৃহঃস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
বলিউডের সুপারস্টার তিনি, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক সালমান খান। তবে সেই নাম-যশ-খ্যাতির উর্ধ্বে জেলে এক সাধারণ কয়েদি হিসাবেই দিন কেটেছে অভিনেতার।
সংশোধোনাগারে কাটানো সময় নিয়ে সম্প্রতি খোলামেলা কথা বলেছেন ভাইজান। ভাতিজা আরহান খানের পডকাস্ট ডাম্ব বিরিয়ানিতে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন নায়ক।
কঠোর পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করার সময়, সালমান জোর দেন- ঘুমের প্রয়োজনের মতো অজুহাত তৈরি করা কেবল সাফল্যের পথে বাধা হিসাবে কাজ করে।
তিনি বলেন, ‘আমি ক্লান্ত, তবুও দিনে দেড় বা দুই ঘন্টা ঘুমাই। তারপরে কোনও দিন, মাসে একবার, আমি সাত ঘন্টা ঘুমাই। কাজের ক্ষেত্রে ঘুমকে কখনো অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাই না।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘কোনও দিন আমি শটের ফাঁকে পাঁচ মিনিটের বিরতি পাব, তখন চেয়ারে ঘুমিয়ে যাই। তবে যখন আমি কারাগারে ছিলাম, তখন ঘুমাতাম। কারণ কারাগারে আমার কিছুই করার ছিল না।;
সালমান আরও বলেন, ‘যখন আপনার কাজ বা পরিবারের কথা আসে, তখন আপনাকে যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে... আপনাকে শুধু বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং কাজের জন্য সেখানে থাকতে হবে’।
১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিং চলাকালীন যোধপুরে কৃষ্ণসার হরিণের অবৈধ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমানের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে কয়েকদিন জেলহাজতে কাটাতে হয় অভিনেতাকে।
এরপর ২০০৬ সালের এপ্রিলে এই মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে যোধপুর জেলে পাঠানো হয় সালমানকে। কয়েকদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। ২০১৮ সালে যোধপুরের নগর দায়রা আদালত সেই সম্পর্কিত একটি মামলায় সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং কারাদণ্ড দেয়। পরে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দেয় সালমানকে।
জামিন মেলার আগে কয়েকদিন সংশোধোনাগারে কাটিয়েছেন নায়ক। এই মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। এছাড়াও সালমানের বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান মামলাও ঝুলে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ থাকার কারণেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট সালমান, কারণ বিষ্ণোই সম্প্রদায় পুজা করে কৃষ্ণসার হরিণকে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)