শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল পরিচালক কৃষ বা রাধাকৃষ্ণ জাগারলামুড়ির এক ব্যতিক্রমী ছবি—‘বেদম’। পাঁচজন সাধারণ মানুষের জীবনের গল্প এক সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে একটি হাসপাতালের করিডরে এসে মিশে গিয়েছিল এই ছবিতে।
অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন প্রথম সারির অভিনেতারা—আল্লু অর্জুন, মাঞ্চু মনোজ, আনুশকা শেট্টি এবং মনোজ বাজপেয়ী—এই ছবির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
তবে ছবির বিষয়বস্তু যতটাই গম্ভীর ছিল, তার প্রচার কিন্তু হয়েছিল একেবারে অন্য ঢঙে। আনুশকা শেট্টির এক পোস্টার, যেখানে তাকে একটি পাতলা শাড়িতে বোল্ড ও খোলামেলা ভঙ্গিমায় দেখা গিয়েছিল।
সেটিই পরবর্তীতে হয়ে ওঠে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। হায়দরাবাদের পাঞ্জাগুট্টা সার্কেলে লাগানো সেই বিলবোর্ড এতটাই ‘হিট’ হয়ে ওঠে যে, এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে ঘটে যায় প্রায় ৪০টি সড়ক দুর্ঘটনা!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সিনেমার পরিচালক কৃষ বলেন, “আমরা ছবির প্রচারের জন্য আনুশকার একটি খোলামেলা পোস্টার বিলবোর্ড আকারে পঞ্জাগুট্টা সার্কেলে লাগিয়েছিলাম। লোকজন এতটাই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলেন তা দেখে যে, একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছিল সেখানে। শেষমেশ পুলিশের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে, এবং আমরা বাধ্য হই সেই হোর্ডিং নামিয়ে ফেলতে।”
ছবিতে আনুশকা শেট্টি অভিনয় করেছিলেন এক যৌনকর্মীর চরিত্রে। সেই সময় তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক নম্বর নায়িকা ছিলেন তিনি। তার সাহসী উপস্থিতি ও চরিত্র বর্ণনার ধরন তেলুগু মূলধারার ছবিতে খুব একটা দেখা যেত না। সে কারণেই হয়তো পোস্টার ঘিরে তৈরি হয় তুমুল হইচই।
২০১০ সালের ৪ জুন মুক্তি পায় 'বেদম'। প্রথম সপ্তাহে মাত্র ১০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এবং শেষমেশ ছবিটি প্রযোজনার খরচও তুলে আনতে পারেনি। তবুও, ছবিটি পাঁচটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড এবং দু'টি নন্দী অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)