সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
একসময় বলিউডের সালমান খান-ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেম কাহিনী ছিলো সকলের মুখে মুখে। তবে এর জুটির প্রেম ভেঙেছে বহু বছর আগেই। বর্তমানে ঐশ্বরিয়া অভিষেক বচ্চনের স্ত্রী এবং আরাধ্যা বচ্চনের মা। তবুও এখনও ঘুরেফিরে আসে ঐশ্বরিয়া-সালমানের সে প্রেমের চর্চা।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে হাম দিল দে চুকে সনম-এর সেটে শুরু হয়েছিল ঐশ্বরিয়া-সামানের মিষ্টি প্রেম কাহিনি। তবে ২০০২ আসতে না আসতেই তা তিক্ততায় মোড় নেয়।
সালমান যদিও তখন ব্যাপারটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বলেছিলেন, সব জুটিদের মধ্যেই তো ঝামেলা হয়। তবে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সালমান তাকে ‘শারীরিক, মানসিক নির্যাতন করেছেন। দিয়েছেন অকথ্য গালাগালি’।
২০১২ সালে সিমি গারেওয়ালের সঙ্গে তার সেলিব্রিটি চ্যাট শো-তে ঐশ্বরিয়াকে সালমানের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বিশেষ করে একটি ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, যেখানে সিনেমার সেটে কিছু ঝামেলার কারণে শাহরুখ খানের 'চলতে চলতে' সিনেমা থেকে বাদ পড়েছিলেন সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরী। এসেছিলেন রানি মুখোপাধ্যায়।
ঐশ্বরিয়াকে যখন ‘সালমান পর্বটি নিরপেক্ষভাবে ফিরে তাকাতে’ বলা হয়েছিল, তখন অভিনেত্রী তার প্রাক্তন প্রেমিক সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিলেন।
জবাব এসেছিল, ‘আমার মনে হয় আমি সেই পর্ব অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছি। আমি মনে করি আমি এটিকে যেভাবেই হোক না কেন, বিশেষত একটি পাবলিক প্ল্যাটফর্মে দেখতে চাই না। আমি সত্যিই চাই না।’
সিমি তখন ফের প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তুমি কি এটা নিয়ে নেতিবাচক বোধ করছ?’ জবাবে ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘এটি অতীতের একটি বিষয়, ওটা ওখানেই রেখে দিতে হবে।’ সালমান খানের সঙ্গে সাবেক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে গেলে ঐশ্বরিয়া বলেন, কিছু পরিস্থিতি ও জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে জনসমক্ষে কথা বলা এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন তিনি।
অভিনেত্রী জুড়েছিলেন, ‘আমার সঙ্গে আছে আমার পরিবার, আমার প্রিয়জন, যাদের আমি খুব ভালোবাসি এবং তাদের খুব যত্ন করি। সুতরাং একটি সুস্পষ্ট প্রাচীর আছে। হ্যাঁ আছে, আর তা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।’
ঐশ্বরিয়া রাই ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে অভিনেতা অভিষেক বচ্চনকে বিয়ে করেন। তাদের আরাধ্যা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আর বর্তমানে বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে প্রেম করার পর রোমানিয়ান অভিনেত্রী লুলিয়া ভান্তুরের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন সালমান।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)