শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
লাইভ শো চলছিল। তার মধ্যে দর্শকের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চে মেজাজ হারালেন নচিকেতা। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে যায়, যে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন গায়ক, তার মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে অকথ্য শব্দ।
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা শহরের একটি ক্লাবের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঘটে এমন ঘটনা।
জানা যায়, শীতের সন্ধ্যায় জমে উঠেছিল নচিকেতার গানের আসর। মঞ্চে উঠে জনপ্রিয় ‘বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি গাইছিলেন তিনি। কিন্তু দর্শক আসনে প্রথম সারিতে বসা এক দর্শকের কীর্তিতে রেগে যান গায়ক। প্রথম সারিতে বসা ওই তরুণ ক্রমাগত নচিকেতার ভিডিও রেকর্ড করছিলেন। সেই কারণেই বিগড়ে যায় শিল্পীর মেজাজ। সামনে উপস্থিত কয়েকশ দর্শকের সামনে মোবাইল ফোনকে একটি অশ্লীল শব্দে ডেকে বসেন! গায়ককে বলতে শোনা গেল, ‘ছবি-টবি তুলো না। গান শুনতে এসেছ, গান শোনো, ফটোগ্রাফার তুমি? এখনকার বাচ্চাদের কোনো কাজ নেই। সারাক্ষণ হাতে **** (লেখার অযোগ্য) নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। না করে পড়াশোনা, না শোনে কথা, কিছুই করে না।’
নচিকেতার সাফ কথা, তিনি এখানে গান গাইতে এসেছেন। কাউকে ছবি তোলার অনুমতি দেননি। নচিকেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি পার্সোনাল কীসের ছবি তুলছ? আমি কি অনুমতি দিয়েছি? ….আমার অসুবিধা হচ্ছে।
একটা সময় নচিকেতা বলেন, ‘কত অ্যারোগেন্ট! আমাকে এখন ওর সামনে দাঁড়িয়ে গান গাইতে হবে। ও ছবি তুলেই যাবে’। এরপর প্রতিবাদের সুর ভেসে আসে দর্শক আসন থেকে। বিস্ফোরক নচিকেতা এরপর যোগ করেন, ‘সবাই বলবে আজকাল এটাই স্টাইল। তা ঘুষ খাওয়াটাও এখন স্টাইল, তাহলে সেটাও বলুন সবাইকে’। শিল্পী ও দর্শকের এই বাদানুবাদের মধ্যেই মঞ্চ ছেড়ে চলেও যান নচিকেতা। পরে এক ক্লাব কর্মকর্তা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘বড় শিল্পীদের অনুষ্ঠান করাতে আনলে তাদের মর্জিমতো চলতে হয়’। পরে অবশ্য নচিকেতা ফের গান শুরু করেছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)