বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। নতুন করে আরও ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ বা স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আজ (২০ আগস্ট ) বুধবার ঢাকার মহাখালীর বিএমআরসি সম্মেলন কক্ষে ‘কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে। এরই মধ্যে একটি তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। তবে কবে নাগাদ এই ক্লিনিকগুলো স্থাপন করা হবে, তা এখনও নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শহর এলাকাতেও কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে শহরে জমি পাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দেশের ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করে, জনস্বাস্থ্যসেবার জন্য আলাদা ফ্যাসিলিটি থাকা উচিত। এই ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ইতোমধ্যে ইডিসিএল থেকে ১২০ কোটি টাকার ওষুধ কেনা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই এসব ওষুধ সব কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছে যাবে। আরও ২০০ কোটি টাকার ওষুধ দ্রুত কেনা হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় সরকারকেই বহন করা উচিত—এমন মত পোষণ করেন ৯২% মানুষ। আর ৯৭% মানুষ মনে করেন, স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে পাওয়া উচিত। এই ক্ষেত্রেও কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে নতুন করে ১৩,৯৮৯ জনকে রাজস্ব বাজেট থেকে ৪২০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)