বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
যেকোনো বয়সে যে কারোরই ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এক টানা বেশিক্ষণ ল্যাপটপে কাজ বা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল দেখাও এ ব্যথার কারণ হতে পারে। ভারী জিনিস তোলার সময়ে অসাবধানতায় ঘাড়ে চোট পেলেও ব্যথা হতে পারে। প্রথম অবস্থায় অগ্রাহ্য করলে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই ফেলে না রেখে ঘাড়ে ব্যথা কেন হচ্ছে, আগে তার উৎস খুঁজে বার করা প্রয়োজন।
হঠাৎ করে একদিনে বাড়ির সমস্ত কাজ করলেও ঘাড়ের পেশির ওপর চাপ পড়তে পারে। বিরতি না নিয়ে একটানা অনেক ক্ষণ গাড়ি চালালেও কিন্তু ঘাড়ের পেশির উপর চাপ পড়ে।
যোগাসন, জিমে গিয়ে ভুল শরীরচর্চা কিংবা শোয়ার ভুলেও ঘাড়ে চোট লাগতে পারে। যা থেকে ঘাড়ের ব্যথা দীর্ঘায়িত হয়। দীর্ঘ দিন একই ভাবে কাঁধে ভারী ব্যাগের বোঝা নিলেও কিন্তু ঘাড়ের পেশিতে চোট লাগতে পারে।
এবড়ো খেবড়ো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ ঝাঁকুনিতে বা দুর্ঘটনায় ঘাড়ে চোট লেগে থাকলে, সেই ব্যথাই ঘুরে ফিরে আসতে পারে বার বার। সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।
বাতের নাম শুনলে প্রথম হাঁটু, কোমরের কথাই মাথায় আসে। তবে ঘাড়ের ভার্টিব্রাল অস্থিসন্ধিতেও কিন্তু আর্থ্রাইটিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও ঘাড়ে কষ্ট হয়।
মানসিক চাপের সঙ্গে মাথা এবং ঘাড়ের সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো ঘটনাও কিন্তু ঘাড়ের পেশির উপর চাপ ফেলে। রক্তচাপ বেড়ে গেলেও কাঁধে, ঘাড়ে কষ্ট হতে পারে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে ঘাড়ের যন্ত্রণা দীর্ঘায়িত হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)