শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়মিত ও বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে সফলভাবে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্র (শীতলক্ষ্যা হল) থেকে 'মশক নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত কার্যক্রম' সরাসরি তদারকি শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ সিটির প্রশাসক ড. মুহ. শের আলী বলেন, 'এডিস মশার লার্ভা বিনষ্ট এবং জীবন্ত ও উড়ন্ত মশা নিধনের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিতভাবে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং করা হচ্ছে এবং এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর যে তালিকা পাই, আমরা সেসব রোগীর ঠিকানা অনুযায়ী বিশেষ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি। সেই বিশেষ কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করা হয় তা আপনারাও লাইভে প্রত্যক্ষ করেছেন।’
‘এছাড়াও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম আরও সুন্দর, সুষ্ঠু এবং সুচারুরূপে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত এবং বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করে চলেছে। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে এবার সফলভাবে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।'
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এ বছরের প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে ছিল উল্লেখ করে প্রশাসক ড. শের আলী বলেন, 'আপনারা জানেন যে, তাপমাত্রা ৩৫° সেলসিয়াসের বেশি হলে এডিস মশা বেঁচে থাকতে পারে না। এ বছর একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৫°সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। ফলে, তাপমাত্রার কারণে মশার ডেনসিটি অনেকটাই কমে গেছে এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি আমাদের জন্য অনেকটাই অনুকূলে ছিল। আমরা আশাবাদী, এ বছর কোনো সমস্যা হবে। কোনো ধরনের সমস্যা হলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে রেসপন্স করব।'
বক্তব্যের আগে প্রশাসক ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত কার্যক্রম ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহতাব আহমেদ, সিস্টেম এনালিস্ট মো. আবু তৈয়ব রোকন, নির্বাহী প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)