শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরসহ সকল পরিচালকের অপসারণের দাবিতে রাজধানীর মহাখালী এলাকা অবরোধ করেছেন সর্বস্তরের নার্স কর্মকর্তা ও নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, নার্সিং মহাপরিচালক নার্স ও নার্সিং পেশাকে মারাত্মকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করেছেন। এমনকি এখনও তিনি নার্সিং অধিদপ্তরে বসে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই ‘মার্চ টু ডিজিএনএম’ শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন নার্সিং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে তারা মহাখালী মূল সড়কে এসে অবস্থান নেন।
সাব্বির মাহমুদ তিহান নামে এক নার্স নেতা বলেন, নার্সদের বদলি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং বদলি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সিন্ডিকেট নিয়ে কথা বলতে গেলে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর নার্সদের সঙ্গে অপেশাদারিত্ব সুলভ আচরণ করেন। এসময় আমাদের একজন নার্স বলেন, ‘আগে বদলি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে পারতেন না, কারণ আগে তো কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল তাই কথা বলতে পারিনি, এখন-তো স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি।’ তখন মহাপরিচালক ধমক দিয়ে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে যান এবং বলতে থাকেন, ‘কিসের স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেন? কিসের আবার স্বাধীনতা?’
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে নার্সদের উদ্দেশে মহাপরিচালক বলেন, ‘আপনারা একটা ছোট চাকরি করেন। এখন আপনারা দ্বিতীয় শ্রেণির অফিসার হয়েছেন; শেখ হাসিনা যে আপনাদের দ্বিতীয় শ্রেণি করছে, এইটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।’ আমরা মনে করি, তার এই বক্তব্যে নার্স ও নার্সিং পেশাকে মারাত্মকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করা হয়েছে যা নার্সিং সমাজকে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করে তুলছে।
তিহান আরও বলেন, নার্সিং ও মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হয়ে নার্সদের সঙ্গে এমন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না, তাই অনতিবিলম্বে তার এই বক্তব্যের জন্য তাকে অবশ্যই সমগ্র নার্সজাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এমনকি মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)