বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারেরও বেশি নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রতি বছর প্রায় ৭ হাজার ৫০০ জন এই রোগে মারা যান। মৃত্যুঝুঁকি কমাতে এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা তৈরিতে রাজধানীতে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিষ্ঠানটির নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। এই প্রচেষ্টায় আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ‘জয়ী’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশব্যাপী স্তন ক্যান্সারের প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
আমরা নারী ও আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের উদ্যোগে এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্সের সহায়তায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজওয়ান দাউদ শামস, চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মো. সাঈদ ইকবাল প্রমুখ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন, সামিউল ইসলাম হিরণ (আইটি কনসালটেন্ট) এবং আমরা নারী ও আমরা নারী রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী এম এম জাহিদুর রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. উম্মে হুমায়রা কানেতা (সার্জারি অনকোলজি, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল)। তিনি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন।
উপস্থিত নারীদের ডা. হুমায়রা স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি নিরূপণ, প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্তকরণ ও নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। ২০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি মাসে মাসিকের পরে নিজে নিজে স্তন পরীক্ষা করা এবং ৪০ বছর বয়সের পর থেকে বছরে একবার ম্যামোগ্রাম করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষ্যে অক্টোবরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই ধরনের সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে। যাতে সমাজের সব স্তরের মানুষ, বিশেষ করে নারীরা, প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত ও প্রতিরোধে সচেতন হতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)