শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পদোন্নতিতে বৈষম্য দূরীকরণের দাবী জানিয়েছেন রাজউকের ইমারত পরিদর্শকরা। এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর স্মরকলিপি প্রদানসহ কয়েক দফায় কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও অদ্যাবধি কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ইমারত পরিদর্শকদের পক্ষ থেকে চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি রাজউকের তৎকালীন চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিয়া বরাবর একটি স্মরকলিপি দেয়া হলেও তিনি কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেননি। এর কয়েকদিন পর গত ৪ এপ্রিল অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার রাজউকের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করলে পদোন্নতিতে বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়টি তাকেও অবহিত করা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
সূত্র মতে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকুরী বিধিমালা ২০১৩ মোতাবেক ১০ম গ্রেডে (১৬,০০০-৩৮,৬৪০/-) স্থাপত্য বা পুরকৌশল বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের ইমারত পরিদর্শক পদে মূল সংগঠনিক কাঠামোতে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করা হয়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কর্মকর্তা ও কর্মচারী) চাকুরী বিধিমালা ২০১৩ এর তফসিল [বিধি ২(৭)] মোতাবেক ইমারত পরিদর্শকদের পরবর্তী পদোন্নতিযোগ্য পদ “প্রধান ইমারত পরিদর্শক”। এদিকে প্রধান ইমারত পরিদর্শক পদটি ১০ম গ্রেডের হলেও বেতন স্কেল সেই (১৬,০০০-৩৮,৬৪০/-) যা ইমারত পরিদর্শকদের বেতনের সমপিরমাণ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজউকের এক প্রধান ইমারত পরিদর্শক (চিফ ইন্সপেক্টর) বলেন, ইমারত পরিদর্শক পদে ৫-৭ বছর চাকুরী করার পর পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়েও গ্রেড ও বেতন স্কেল একই দাঁড়ায়, যা এক ধরনের বৈষম্য। এর ফলে প্রধান ইমারত পরিদর্শক পদে আসীন কর্মকর্তাদের মনে অসন্তোষ সৃষ্টিসহ কর্মস্পৃহা হ্রাস পায়। এ থেকে উত্তরণের জন্য বৈষম্য দূরীকরণ প্রয়োজন। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দশম গ্রেড হতে পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ নবম গ্রেডে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। অথচ রাজউকের বেলায় আমরা বৈষম্যের শিকার।
ইমারত পরিদর্শকদের পদোন্নতি সংক্রান্ত বৈষম্য দূরীকরণের নিমিত্তে ইমারত পরিদর্শক দশম গ্রেড হতে পরবর্তী পদোন্নতির ধাপ সরাসরি নবম গ্রেডে করার জন্য রাজউক চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে রাজউক চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকারের মোবাইল ফোনে কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায় নি। রাজউকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)