সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সরকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দাসত্বের নতুন ধরনসহ মানবাধিকার আইনের আওতায় নিরাপত্তা দেওয়া নিষিদ্ধ করে রাখতে চায়। যদিও দেশটির কয়েকজন মন্ত্রী এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন; যা চাপে ফেলছে স্টারমার সরকারকে।
গত বছরের জুলাইয়ে ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। এর আগের কনজারভেটিভ সরকারের প্রস্তাব অনুযায়ী, তারাও বহাল রাখবে এই বিশেষ নিষেধাজ্ঞা। যে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাজ্য থেকে বের করে দেওয়া হতো, তারা অনেক ক্ষেত্রে নব্য দাসত্ব আইনের আবহে নিরাপত্তা দাবি করতেন; যাতে তাদের যুক্তরাজ্য থেকে বহিষ্কার না করা যায়।
নতুন নিষেধাজ্ঞা এই নিরাপত্তাকে নাকচ করে। পাশাপাশি অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসনপ্রত্যাশীদেরও ২৮দিন আটক করে রাখার কথাও বলছে এই নিষেধাজ্ঞা। প্রতি বছর হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ডিঙি নৌকায় চেপে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে পৌঁছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এমন অভিবাসন বহু ব্রিটিশ ভোটারের চিন্তার কারণ।
গত বছর নির্বাচনের সময় কেয়ার স্টারমার মানবপাচারের সংগঠিত চক্রগুলোকে ‘ভেঙে দেবেন’ বলে অঙ্গীকার করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দেশটির সংসদে একটি নতুন বিল পেশ করা হয়। এর নাম দ্য বর্ডার সিকিউরিটি, অ্যাসাইলাম অ্যান্ড ইমিগ্রেশন বিল।
বিলটি পাস হলে পুলিশ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মোবাইল ফোন হাতিয়ে তার সাহায্যে মানবপাচারকারীদের ট্র্যাক করবে। একই সঙ্গে সেসব ব্যক্তিদেরও খোঁজা সম্ভব হবে; যারা ছোট ছোট নৌকা বানিয়ে বা তেমন নৌকার জন্য পার্টস বানিয়ে অবৈধ পন্থায় যুক্তরাজ্যে মানুষকে নিয়ে আসেন।
২০২৩ সালে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে সংসদে ভোট দেন লেবার সংসদ সদস্যরা। কিন্তু স্টারমার বলেন, সেই সময় তা না করলে যুক্তরাজ্যে পাচার হয়ে আসা নারীদের বাড়তি সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হতো না। কিন্তু ২০২৫ সালের শুরুতে কী বদলালো, যাতে স্টারমার এই পদক্ষেপ নিলেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি তার অফিস বা তিনি নিজেও।
ইউগভ সংস্থার একটি জরিপ বলছে, যুক্তরাজ্যে স্বাস্থ্য, অর্থনীতির পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অভিবাসন। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর নৌকায় চেপে ৩৬ হাজার ৮১৬ জন আসেন সেখানে, যা তার আগের বছরের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি।
চ্যানেল পার হয়ে আসা মানুষের সংখ্যা ২০১৮ সালের পর এতটা আর কখনও বাড়েনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)