বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনাদের গুলি চালানো এবং হত্যা করা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের প্রধান কাজা কালাস এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের উদ্দেশে কাজা কালাস বলেছেন, “আমি আজ ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার-এর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছি। আমি তাকে গাজায় সংঘাত ইস্যুতে ইইউ’র অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছি যে গাজায় ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের হত্যা করা বা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করি আমরা।”
“ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)-কে অবশ্যই ত্রাণ নিতে আসা ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে সব ধরনের বিকল্প আমাদের হাতে রয়েছে।”
কাজা কালাসের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে বার্তা দিয়েছেন ইইউ’র প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেনও। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেছেন, “গাজার যে চিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি— তা রীতিমতো সহ্যের বাইরে।”
“গাজার বেসামরিকরা অনেক দিন ধরে ভয়াবহ ভোগান্তির মধ্যে আছে। এটা এখন বন্ধ হওয়া উচিত।”
বস্তুত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় পার করছে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা। অভিযানে ইতোমধ্যে গাজায় নিহত হয়েছেন ৫৯ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় দেড় লাখ।
প্রতিদিন গাজার বিভিন্ন এলাকায় গুলি ও মর্টারশেল নিক্ষেপের পাশাপাশি সেখানে খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। পাশাপাশি অল্প যে কয়েকটি ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে— সেগুলো গাজায় ঢোকার পর ত্রাণ নিতে আসা লোকজনদের গুলি করছে ইসরায়েলি সেনারা।
গত কয়েক মাসে এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়; কিন্তু সেসবে কান না দেওয়ায় এবার ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিলো মধ্যপ্রাচ্যের এই ইহুদিশাসিত ভূখণ্ডের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ইইউ।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)