সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আসন্ন বৈঠকের আমেজের মধ্যেই রাশিয়া থেকে ইউরোপের তেল সরবরাহ পাইপলাইন ‘দ্রুজবা পাইপলাইন সিস্টেম’-এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইনে তেল সরবরহ বন্ধ আছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট)সকালে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার জিজ্জার্তো । পাইপলাইনে হামলার কারণে ইউক্রেনকে ভর্ৎসনাও করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জিজ্জার্তো বলেছেন, “আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে এ ধরননের হামলা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য এবং এতে আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত আমাদের কোনো ব্যাপার নয়। আমরা তথাকথিত এ যুদ্ধ থেকে বাইরে আছে। তাহলে আমাদের কেন লক্ষ্যবস্তু করা হবে?”
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন জেলেনস্কি। তিনি ওয়াশিংটনে পৌঁছার কয়েক ঘণ্টা পর দ্রুজবা পাইপলাইন সিস্টেমকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
রাশিয়ার জ্বালানি তেলের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা ইউরোপের দেশগুলো। একাধিক পাইপলাইনে রাশিয়া থেকে ইউরোপে সরাসরি অপরোশোধিত তেল পাঠানো হয়। এসব পাইপলাইনের মধ্যে দ্রুজবা পাইপালাইনটি দীর্ঘতম। এই লাইনে রাশিয়া ও কাজাখস্তান থেকে চেক রিপাবলিক, জার্মানি, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়ায় রুশ তেল জায়। পাইপলাইনটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার। পাইপলাইনের হাঙ্গেরি অংশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী।
জিজ্জার্তো অবশ্য জানিয়েছেন যে রুশ এবং হাঙ্গেরীয় প্রকৌশলীরা পাইপলাইনটি মেরামতের কাজ শুরু করেছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিলেও হাঙ্গেরি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য হাঙ্গেরি বরাবরই এ যুদ্ধে নিজে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকেছে, পাশাপাশি ইউক্রেনের পক্ষ অবলম্বনের জন্য প্রকাশ্যে ইইউ’র সমালোচনাও করেছে।
প্রসঙ্গত, এই যুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনী এর আগেও রাশিয়া-ইউরোপ জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থাকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে। ২০২৩ সালে রাশিয়া থেকে ইউরোপে সরাসরি গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা নর্থ স্ট্রিম পাইপলাইন সিস্টেমে হামলা চালিয়ে গোটা ব্যবস্থা অচল করে দিয়েছিল ইউক্রেন। এই পাইপলাইনে করে হাঙ্গেরি, সার্বিয়া, বুলগেরিয়া, স্লোভাকিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিণা এবং গ্রিসে সরাসরি যেতো রুশ গ্যাস।
সূত্র : আরটি
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)