শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ‘ইউক্রেন প্রকাশ্যে দেখিয়ে দিচ্ছে যে তারা মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চায় না।’ সম্প্রতি ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বক্তব্য এর প্রমাণ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে শীর্ষ বৈঠক এবং পরবর্তীতে ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর মার্কিন প্রশাসন জানায়, শান্তি চুক্তির সম্ভাবনা আগের তুলনায় বেড়েছে। হোয়াইট হাউস একে ‘অগ্রগতি’ আখ্যা দিয়ে বলেছিল, সামনের পথে আলো দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ নিশ্চিত করেন যে আলাস্কা বৈঠকে উল্লেখযোগ্য ‘অগ্রগতি’ হয়েছে। তবে তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা যেভাবে কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে তারা কোনো টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চায় না।
তিনি উদাহরণ হিসেবে জেলেনস্কির শীর্ষ উপদেষ্টা মিখাইল পোডোলিয়াকের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেন। পোডোলিয়াক বলেছিলেন, ইউক্রেন কিছু অঞ্চলকে আপাতত ‘ডি-ফ্যাক্টো’ হারানো হিসেবে স্বীকার করতে পারে, তবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর সেগুলো পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করবে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর চাপ দেবে যেন তারা রাশিয়ার অর্থনীতি দুর্বল করার জন্য নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ল্যাভরভের মতে, এসব বক্তব্য প্রমাণ করে যে পশ্চিমা মিত্রদের সমর্থনে ইউক্রেন এমন কিছু টার্গেট করছে যা ট্রাম্প-পুতিনের যৌথ প্রচেষ্টার পরিপন্থি। সংকটের মূল কারণ দূর করার বদলে কিয়েভ ও তাদের সমর্থকেরা বরং তা বাড়িয়ে তুলতে চাইছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)