শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২


আকস্মিক বন্যা

বিয়ের দুদিন আগে পরিবারের ২৪ সদস্যকে হারালেন নুর মুহাম্মদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:২৩ আগষ্ট ২০২৫, ১২:৫৪

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

মালয়েশিয়া প্রবাসী পাকিস্তানি নাগরিক নুর মুহাম্মদ। বিয়ের উদ্দেশে গত ১৫ আগস্ট পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলায় নিজ বাড়িতে যান তিনি। বাড়িতে পুরোদমে চলছিল বিয়ের প্রস্তুতি। কিন্তু তিনি বাড়ি এসে সাক্ষী হন এক করুণ ও হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির। পরিবারের ২৪ সদস্যের জানাজায় অংশ নিতে হয় তাকে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) জিও নিউজের খবরে বলা হয়, পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যার সময় ওই বাড়িতে অবস্থান করা মুহাম্মদের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের ২৮ সদস্যের মধ্যে ২৪ জনই প্রাণ হারান। এর কিছুক্ষণ আগে অর্থাৎ বিয়ের দুই দিন আগে, সর্বশেষ তার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলেছিলেন তিনি।

নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি বোঝাতে পারব না যে তিনি কতটা খুশি ছিলেন’।

কাদির নগর গ্রামে খালের তীরে অবস্থিত তার পরিবারের বিশাল ৩৬ কক্ষের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

পাহাড়ি বুনের জেলার এই গ্রামটি সাম্প্রতিক প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলাটি রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে তিন ঘণ্টার পথ। ১৫ আগস্ট থেকে উত্তর-পশ্চিমে বন্যায় প্রায় ৪০০ জনের মধ্যে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এই অঞ্চলে।

২৫ বছর বয়সি মুহাম্মদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি বাড়ি ফিরে আসার সময় ধ্বংসস্তূপ এবং ভারী পাথর ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। এগুলো পাহাড় থেকে কাদা এবং প্রচণ্ড বন্যার পানির সঙ্গে ঘরবাড়ি, বাজার এবং ভবনগুলোতে ভেঙে পড়েছিল।’

নিহতদের মধ্যে তার মা, এক ভাই এবং এক বোনও ছিলেন। তিন বলতে থাকেন, ‘এক বিরাট বন্যা এলো, সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেল; বাড়ি, মা, বোন, ভাই, আমার চাচা, আমার দাদা এবং বাড়িতে থাকা ছোট বাচ্চাদের। আমরা আর কী বলতে পারি? এটা আল্লাহর ইচ্ছা।’ তবে তাকে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে নিতে যাওয়ার কারণে বেঁচে যান তার বাবা ও আরেক ভাই।

বাকি নিহতরা হলেন- তার চাচাদের পরিবারের সদস্যরা, যারা তার দাদার তৈরি বাড়িটিতে উত্তরাধিকার সূত্রে ছিলেন এবং তার বিয়েতে যোগদানকারী আত্মীয়স্বজনরা।

বিধ্বংসী আকস্মিক বন্যা

পাকিস্তানি জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, জুনের শেষের দিকে শুরু হওয়া বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাতের ফলে সারা দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৭৭৬ জনে পৌঁছেছে। এ সময় উত্তর-পশ্চিমে আটকে পড়া ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:১৮ ভোর
যোহর ১২:০২ দুপুর
আছর ০৪:৩৫ বিকেল
মাগরিব ০৬.২৯ সন্ধ্যা
এশা ০৭:৪৪ রাত

শনিবার ২৩ আগস্ট ২০২৫