সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভয়াবহ দাবানলে বিধ্বস্ত দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলি। দেশটিতে ভয়াবহ দাবানলের কারণে নিহত বেড়ে ১১২ জনে পৌঁছেছে। দেশটির একটি শহরে দুই শতাধিক বাসিন্দা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
চিলিতে বিশাল এলাকা জ্বলছে। পাহাড়ের ধারে এবং দাবানলে বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে মিলছে মৃতদেহ। দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক সতর্ক করে বলেছেন যে, তারা খুব বড় মাত্রার ট্রাজেডির মুখোমুখি হয়েছে। খবর রয়টার্সের
খবরে বলা হয়েছে, ভয়াবহ এই দাবানলে সারা দেশে ৪৩ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দাবানলে হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভালপারাইসোর প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি পাওলা গুতেরেস বলেছেন, উচ্চ তাপমাত্রার কারণেই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে। তিনি আরও জানান, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, আগুনের কাছাকাছি একটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল; যাতে জরুরী নিরাপত্তা কর্মীরা নির্বিঘ্নে তাদের কাজ করতে পারে। বন বিভাগের কর্মকর্তা জানান, দাবানল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ১০টি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্থানীয় সময় শনিবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক। ভালপারাইসোর প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি সোফিয়া গঞ্জালেজ কর্টেস বলেছেন, জরুরি অবস্থা মার্গা এবং ভালপারাইসো প্রদেশের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন অংশে প্রায় ৯২টি সক্রিয় দাবানল জ্বলছে এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ হাজার হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দমকলকর্মীরা ৪০টি আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং এখনও ২৯টি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো- কিছু অগ্নিকাণ্ড শহরের খুব কাছাকাছি অঞ্চলে এমনকি কিছু শহুরে এলাকায় ঢুকে পড়েছে।
চিলিতে গ্রীষ্মকালে উচ্চ তাপমাত্রার সময় প্রায় দাবানলের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে চিলির সরকার জনগণকে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে। ২০১০ সালে ভূমিকম্পের পর চিলিতে এটিকেই বড় দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)