বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৭ হাজার ৬১১ জন আহত হয়েছে বলে শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ছোট্ট ওই ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৫২ জন।
চারমাসেরও বেশি সময় ধরে হামাসের হামলার পাল্টা জবাবে গাজায় হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলি সেনারা। এ সময়ে ৭০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস করেছে তারা। আর তাদের হামলার ভয়ে উপত্যকাটির ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৮৫ শতাংশ বাসিন্দাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশের পর রাফাহতে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। মিশর সীমান্তবর্তী ওই শহরে ইসরায়েলি এই হামলায় তিনটি পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছে। নিহতদের প্রায় ১০ জনই শিশু। এর মধ্যে এক শিশুর বয়স মাত্র তিন মাস।
এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে লোকজনকে রাফাহ শহরে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের ওপরই এখন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার অন্তত ১০ লাখ বাসিন্দা ঠাঁই নিয়েছে মিশর সীমান্তবর্তী ওই এলাকায়। হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়ে সেখানে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের সরে যেতে নির্দেশ দেয় ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
খবরে বলা হয়েছে, আইডিএফের এ হামলায় হতাহতের শিকার হবে বিপুলসংখ্যক গাজাবাসী। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা সতর্ক করে বলেছে ইসরায়েলের এ হামলার ফলে পুরোপুরি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে গাজাবাসী।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনে নিযুক্ত ত্রাণ সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি জানিয়েছেন, হামলার এ ঘোষণায় রাফাহতে উদ্বেগ ও আতঙ্কে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)