শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
নির্বাচনে কারচুপি ও ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের সমর্থকরা। তাদের দাবি, ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও; ফলাফল পরিবর্তন করে দিয়ে তাদের অনেক প্রার্থীকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে পিটিআইয়ের সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রিজাইডিং অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও করেছেন।
তবে রাস্তায় বিক্ষোভরত পিটিআইয়ের সমর্থকদের ওপর ধরপাকড়ও চলছে। পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডিসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পিটিআইয়ের সমর্থকদের ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ।
এছাড়া নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশের হানা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পিটিআই নেতা খুররাম শের জামান জানিয়েছেন, শনিবার রাতে তার বাড়িতে পুলিশ এসেছিল।
পিটিআইয়ের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, দলটির সমর্থকরা দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন।
পিটিআইয়ের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং গুলি ছোড়ার পর জীবন বাঁচাতে অনেকে এদিক-ওইদিক ছোটাছুটি করছেন সাধারণ মানুষ।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দিয়েছেন; তারা যেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেন। কারণ পিটিআইকে ফাঁসাতে সরকারের পক্ষ থেকে চক্রান্ত করা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে কোনো ধরনের সংঘাতে জড়ানোর বদলে, সেগুলো ভিডিও করে রাখার পরামর্শও দিয়েছে দলটি।
রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) পুরো পাকিস্তানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। যদিও প্রথমে পিটিআই তাদের কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন শহরে জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে দলটি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হওয়ার বদলে নির্বাচন কমিশন অফিস ঘেরাও করে রাখার কর্মসূচি দেয় তারা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে নির্বাচন হয়। বৃহস্পতিবার নির্বাচন হলেও; রোববার সব আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ঘোষণা অনুসারে, এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০১টি আসন জিতেছে। যার মধ্যে ৯৬টি আসনে জিতেছেন ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্যদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৭৫টি আসনে জয় পেয়েছে।
এছাড়া প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। করাচি-ভিত্তিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) ১৭টি আসন জিতেছে।
পিটিআইয়ের দাবি, তারা আরও বেশি আসনে জয় পেয়েছে এবং একক দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। কিন্তু তারা যেন সরকার গঠন করতে না পারে; সেজন্য বিভিন্ন আসনের ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)