বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা নিয়ে সমঝোতার ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে আর কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে হামাস। সাত মাস ধরে চলমান যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় মিসরের কায়রোয় আলোচনা অব্যাহত থাকার মধ্যে এই মনোভাবের কথা জানাল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
বুধবার (৮ মে) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই খবর জানায় ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ট্যাংক থেকে গোলা নিক্ষেপ ও বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে হুমকি দিয়েছে বড় ধরনের অভিযান শুরু করার। মঙ্গলবার মিসরের সঙ্গে রাফা সীমান্ত ক্রসিং থেকে শহরটিতে প্রবেশ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বাইরে থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পথটি বন্ধ হয়ে যায় এবং আহত ফিলিস্তিনিদের বাইরে পাঠানোর একমাত্র পথও এটি।
বুধবার (৮ মে) এক বিবৃতিতে কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সদস্য ইজ্জাত এল–রেশিক বলেন, তারা গত সোমবার গ্রহণ করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বাইরে যাবেন না।
প্রস্তাবে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে গাজায় জিম্মি ইসরায়েলিদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মুক্তি ও ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা আছে।
রেশিক বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আন্তরিক নয় এবং রাফায় আগ্রাসন চালানো ও সীমান্ত ক্রসিং দখলের ঘটনা আড়াল করার মাধ্যম হিসেবে সমঝোতাকে ব্যবহার করছে তারা।
হামাসের এ বক্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল। গত সোমবার দেশটি ঘোষণা করে, হামাসের গ্রহণ করা তিন দফার ওই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানা সম্ভব নয়। কারণ, এটির শর্তগুলো খুব দুর্বল এবং তা কার্যকর করার মতো নয়।
দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় মঙ্গলবার থেকে কায়রোয় বৈঠকে বসেছেন হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে মিসরের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত আল–কাহেরা টিভি জানায়, গতকাল সারা দিন ও রাতেও আলোচনা করেছেন প্রতিনিধিরা।
ইতোমধ্যে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জানায়, হামাস তার যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সংশোধন করেছে এবং এটি পর্যালোচনার মাধ্যমে সমঝোতা প্রচেষ্টায় চলা অচলাবস্থা দূর করা যেতে পারে।
হামাসের সর্বশেষ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, সমঝোতা থেকে খুব বেশি দূরে নয় দুই পক্ষ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)