শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
স্বস্তির বৃষ্টির পর ফের বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। সেই আঁচ পাওয়া গেছে গতকালই। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে বাড়বে তাপমাত্রা। আসবে তাপপ্রবাহ। যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে কোথাও কোথাও।
এর মধ্যেই ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে চলতি মাসের শেষের দিকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়তে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’।
চার বছর আগে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ২০ মে মাসেই দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সে সময় বেশ ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল। তবে সুন্দরবনের কারণে রক্ষা পাওয়া গেছে সে যাত্রায়। এবার সেই আম্ফানের মাসেই ধেয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস বলছে বঙ্গোপসাগরে ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা আগামী ২০ মের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ কিংবা গতিপথ কোনদিকে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রেমালও আম্ফানের মতো বিধ্বংসী হতে পারে। তবে এটির শক্তি কতটুকু; শেষ পর্যন্ত সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে কিনা, তা জানতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে রেমাল। ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তিবৃদ্ধি করবে। ২৪ মে এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)