শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দখলদার ইসরায়েল যখন বয় আর চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে, তখনই যুক্তরাষ্ট্র জানালো কখন ভয়াবহ হামলাটি চালাবে ইরান।
তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জবাবে ইরান বড় ধরনের হামলা চালাবে বলে সোমবার (১২ আগস্ট) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি।
তিনি বলেন, এই সপ্তাহেই ইরান ও তার মিত্ররা প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে। তবে ওয়াশিংটন এখনো নিশ্চিত নয় যে, এই হামলার মাত্রা কেমন হবে। আমরা খুবই নিবিড় ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।
গত ৩১ জুলাই ইসমাইল হানিয়াকে বর্বরভাবে হত্যা করে ইহুদিবাদী ইসরাইল। পরে তারা ঘটনার দায়িত্ব অস্বীকার করেছে তবে তদন্ত শেষে ইরান জানিয়েছে, ইসরাইলই এই ঘটনার জন্য দায়ী এবং তাদেরকে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
ইরানের একজন শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার পথে রয়েছে ইরান।
ওই কর্মকর্তা জানান, ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রতিশোধ নেওয়া হবে। হানিয়া হত্যাকাণ্ডের পর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ইরানের ভয়ংকর প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্কে আছে ইসরায়েল।
ইহুদিবাদী দেশটির প্রতিরক্ষমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এক ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে বলেছেন, ইরান ইসরায়েলে বড় ধরনের সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে ইসরায়েলের সুরক্ষায় এরই মধ্যে সেখানে গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়ড অস্টিন জানিয়েছেন, একটি বিমানবাহী রণতরীও ওই অঞ্চলের দিকে যাত্রা করেছে এবং দ্রুতই সেটি গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।
সম্প্রতি তেহরানে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং লেবাননের ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর কমান্ডার শুকরি হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)