শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে পুলিশ স্টেশন, রেললাইন এবং হাইওয়েতে ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৭৩ জন নিহত হয়েছে। সামরিক বাহিনীর পাল্টা অভিযানে মারা গেছে ২১ জন সন্ত্রাসী এবং নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার (এলইএ) ১৪ সদস্য।
আহত হয়েছে আরও অনেকে। রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার ভোরের মধ্যে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর ডনের।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) হতাহতের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামলায় ৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে। তারপর তাদের পরিবারের সামনে গুলি করে এবং গাড়িতে আগুন দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে ২৩ জন নিহত হয়েছে। এ সময় মুসাখাইল এলাকায় মহাসড়কে ৩৫টির মতো গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
মুসাখাইল জেলার সহকারী কমিশনার নজীব কাকার জানান, রবিবার দিবাগত রাতে অস্ত্রধারীরা ররশম এলাকায় আন্তপ্রদেশ মহাসড়কে অনেকগুলো যাত্রীবাহী গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক গাড়ি থামায়। এসব গাড়ি থেকে অস্ত্রধারীরা বেছে বেছে ২৩ পাঞ্জাবিকে হত্যা করে। মহাসড়কটি পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানকে যুক্ত করেছে।
ওই রাতে বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং, কালাত, পাসনি, ও সুনসার জেলার থানায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। প্রদেশটির রাজধানী কোয়েটাসহ সিবি, পঞ্জগুর, মাস্তুং, তুরবত ও বেলা শহরে সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গ্রেনেড হামলা চালায়। প্রদেশের গোয়াদর জেলায় সুনসার থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা।
বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) নামের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হামলার দায় শিকার করেছে। প্রদেশটিতে গত কয়েক বছরে যেসব সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটা ছিল ভয়াবহ। সেখানে বিএলএর পাশাপাশি আরও অনেক সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)