শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
উত্তর কোরিয়ার সাথে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হলো। এটিতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষায় সহযোগিতার বিধান রয়েছে।
এর আগে রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ ও নিম্ন কক্ষ চুক্তিটি অনুমোদন করে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ে শীর্ষ বৈঠকের পর গত জুন মাসে পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে সশস্ত্র হামলার ক্ষেত্রে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, চলতি সপ্তাহে রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ চুক্তিটি অনুমোদন করে। আর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ গত মাসেই তা অনুমোদন করেছিল। এই অনুমোদনের বিষয়টিকে পুতিন আইন হিসেবে স্বাক্ষর করেন যা আইনি প্রক্রিয়ার রূপরেখাসহ শনিবার দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
টানা আড়াই বছর ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় রশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা করছে কিয়েভ। বিপরীতে মস্কোও তার মিত্রদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছে।
মূলত রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রনে পুরোদমে তার আক্রমণ শুরুর পর এই চুক্তির ফলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলো।
দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে। ইউক্রেনের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তারা রাশিয়ার আক্রমণের ক্ষেত্রগুলোতে অস্ত্রের সন্ধান পেয়েছেন।
পশ্চিমারা করতে পারে, উ. কোরিয়া কেন করতে পারবে না? প্রশ্ন রাশিয়ার
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত বৃহস্পতিবার বলেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ১১ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে এবং তাদের কেউ কেউ রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ লড়াইয়ে হতাহত হয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য রুশ ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)