শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করার অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তবে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে আইনজীবীরা।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
এর আগে গত ৯ মে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে দুই মামলায় জামিন দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ মে এই দুই মামলায় জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
তার ধারাবাহিকতায় ১০ জুলাই মামলাগুলো নিয়মিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর আদালত শুনানি তিন মাসের জন্য মুলতবি করেন। পরবর্তীতে সোমবার ফের কার্যতালিকায় ওঠে। শুনানি শেষে আদালত ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন।
২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
এরপর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুইটি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)