শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা কামাল মিয়া নামের রিকশাচালকের হত্যাকাণ্ডের পেছনে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত জড়িত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ এ দাবি করেন।
এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইউসুফ।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংগঠনের নেতা। ঢাকাসহ সারা দেশের কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় অবস্থান করলে তাদের নির্দেশে ও হুকুমে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা থেকে সরানোর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে এলোপাথাড়ি গুলি করে। এতে ভিকটিম কামাল মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এতে আরও বলা হয়, আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মামলার ঘটনা সম্পর্কিত সুস্পষ্ট তথ্য সংগ্রহ, ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে। এজন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ডে আনা প্রয়োজন। রাষ্ট্রপক্ষ ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের আর্জি জানায়।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই আসামিদের নির্দেশেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাদের ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
পরে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোসলেহ উদ্দিন হোসেন বলেন, তিনজন আসামির ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ড চাওয়া হয়। কেন এই রিমান্ড প্রয়োজন, তা আমরা আদালতে তুলে ধরি। এরপর আদালত বিবেচনা করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আসামিপক্ষের একজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন জানান। তবে আদালত তাদের আবেদন আমলে নেননি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)