শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টে আনা হয়েছে।
বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে সিএমএম কোর্টে আনে। নিরাপত্তার প্রয়োজনে তাকে বহনকারী গাড়ির সামনে-পেছনে পুলিশের ৩টি প্রটেকশন গাড়ি ছিল। পরে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এদিকে ইনুকে সিএমএম কোর্টে আনার খবরে বিকাল ৪টা থেকে কোর্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এ সময় আইনজীবী ও সাংবাদিক ছাড়া বাকি সবাইকে আদালত এলাকা থেকে বের করে দেন সেনাবাহিনী সদস্যরা। এছাড়া আগে থেকেই কোর্ট এলাকায় অবস্থান ছিলে পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যের।
এর আগে, গতকাল ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইনুকে। গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল হোসেন ভুঁইয়া তখন জানিয়েছেন, হাসানুল হক ইনুকে নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইনুকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১নং গেটের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিল চলছিল। এসময় কিছু আসামির যোগসাজশ ও উসকানিমূলক বক্তব্যে ও সরাসরি নির্দেশে নিরাপরাধ মানুষের ওপর গুলি করা হলে ঘটনাস্থলে মাহফুজুর রহমান, নাসির উদ্দিন, শামীম উসমান, মো. আবু মূসা, মাঈনুদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, আবির হোসেনসহ অনেক নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা ও সাধারণ পথচারী আহত হন। আব্দুল ওয়াদুদ নিউমার্কেট থানার প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে একবার সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)