রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সারাদিন সবকিছু ঠিকই থাকে। কিন্তু বিকেল হতেই শুরু হয় মাথাব্যথা। সময়ের সঙ্গে ব্যথার তীব্রতা বাড়তেই থাকে। আর তাতেই সব কাজের শিডিউল নষ্ট হয়। ইংরেজিতে এই মাথাব্যথাকে ‘ইভিনিং হেডেক’ বলা হয়।
এমন সমস্যা দেখা দিলে হুট করেই পেইনকিলার খেয়ে নেবেন না। এতে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তারচেয়ে বরং কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
ঠান্ডা সেক-
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিকেলের দিকে মাথাব্যথার বাড়ার মূল কারণ মাইগ্রেন। এই সমস্যায় মহৌষধির মতো কাজ করে ঠান্ডা সেঁক। তাই বিকেলের পর মাথাব্যথা করলে মাথার চারপাশে আইসপ্যাক দিয়ে ১৫ মিনিট সেঁক দিন। তারপর ১৫ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে গরম পানিতে গোসল করে নিন। মাথাব্যথা কমে যাবে।
ম্যাসাজ করুন-
ম্যাসাজের করলে শরীরের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত চলাচল অনেকটাই বেড়ে যায়। এতে ব্যথা কমে। এছাড়া ম্যাসাজের সময় মস্তিষ্ক থেকে কিছু ফিল গুড হরমোনও বের হয়। এইসব হরমোনও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই এখন থেকে মাথাব্যথা করলে সেই জায়গায় ম্যাসাজ করুন। এতে ব্যথার প্রকোপ কমবে।
ঘরের আলো নিভিয়ে দিন-
গবেষণা অনুযায়ী, অত্যধিক আলো মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিকেলের পর মাথা ব্যথা করলে ঘরের আলো নিভিয়ে চুপ করে শুয়ে থাকুন। কিছুক্ষণের মধ্যে মাথাব্যথা কমবে। পুরো অন্ধকারে যদি ঘুমাতে ভয় লাগে তবে ডিম লাইট জ্বালিয়ে রাখতে পারেন।
পানি পান করুন-
শরীরে পানির ঘাটতি হলে মাথাব্যথার আশঙ্কা বাড়ে। তাই মাইগেনের ব্যথা শুরু হলে ধীরে ধীরে পানি পান করুন। এতে ব্যথা কিছুটা হলেও কমবে। এমনটাই জানাচ্ছে ওয়েবমেড। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে কিংবা হার্টের অসুখ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি পান করুন।
কফি হোক বন্ধু-
বিকেলের পর মাথাব্যথা শুরু করে চট করে এক কাপ কফি পান করুন। এতে ব্যথা কিছুটা কমবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, কফিতে আছে ক্যাফিন নামক উপাদান যা মাথা ব্যথা কমানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
এসব ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগিয়ে যদি মাথাব্যথা না কমে তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেসব বিষয় মাথাব্যথা বাড়িয়ে দেয় সেগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। তবেই সুস্থ থাকবেন আপনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)