শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
লবঙ্গের গুণ অনেক। যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। নিত্যদিনের রান্নাতেও চলে লবঙ্গের ব্যবহার। লবঙ্গ রান্নায় যেমন সুগন্ধি ছড়ায় তেমনি রান্নাকে করে তোলে সুস্বাদু। আবার রান্নার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও লবঙ্গ উপকারী। রাতে খাবারের পর এক টুকরো লবঙ্গ মাউথ ফ্রেশনারের থেকেও বেশি কার্যকরী। এছাড়া লবঙ্গে রয়েছে আরও অনেক গুণ।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা আপনার শরীরে থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিটামিন সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ক্রনিক রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়।
গ্যাস্টিক এবং বুকজ্বালা কমাতে সাহায্য করে
রাতে খাবার পরে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে তা হজম ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে। বদহজম, পেটফাঁপা, বুকজ্বালা এবং গ্যাসের প্রবণতা কমায়।
দাঁতের ব্যথা দূর করে
লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান দাঁতের ব্যথা দূর করে। এমনকী মাড়ির ক্ষয়ও রোধ করে। যে কারণে অনেক টুথপেস্টে উপকরণ হিসেবে লবঙ্গ থাকে। এছাড়া আর্থারাইটিস, পেশির ব্যথা, হাঁটু, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে।
সর্দি-কাশি ও ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা করে
লবঙ্গ চিবিয়ে খান বা মুখে রেখে দিন। সর্দি-কাশি, কফ, ঠান্ডা লাগা, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টের হাত থেকে পরিত্রাণ মিলবেই। মাথা ব্যথা কমাতেও লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে, যা সাধারণত মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। এটি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে কাজ করে, ফলে শ্বাস থাকে সতেজ।
রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে
লবঙ্গে থাকা ইউজেনল রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ফলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে যা সুস্থ থাকার জন্য ভীষণ জরুরি। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রেসের ঝুঁকিও কমায়।
এছাড়াও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কারণে লবঙ্গ তেল ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং দাগ ছোপ দূর করতেও সাহায্য করে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)