শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
একটাসময় মনে করা হতো, বয়স্ক ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। তবে এখন তরুণদের মধ্যেও এই রোগের প্রবণতা বাড়ছে। এইমস নিউরোলজির তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছরের কম বয়সের প্রতি ১০০ জন রোগীর মধ্যে ২ জনই স্ট্রোকে আক্রান্ত।
বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ও অক্ষমতার প্রধান কারণ স্ট্রোক। সাধারণ ভাষায়, স্ট্রোক উদীয়মান মস্তিষ্ক, রেটিনা ও মেরুদণ্ডের ব্যাধি যা রক্তনালীগুলির বাধা (ইস্কেমিক স্ট্রোক) এবং রক্তনালীগুলির ফেটে যাওয়ার কারণে ঘটে (রক্তক্ষরণজনিত স্ট্রোক)।
হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে কেন? চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা এবং দীর্ঘ সময় বসে কাজ করার কারণেই বেশিরভাগ রোগীর হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এগুলো স্ট্রোকের প্রথাগত কারণ। ৫০ শতাংশ স্ট্রোকের কারণ এগুলো।
তবে কিছু অপ্রথাগত ঝুঁকির কারণেও স্ট্রোক হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে রয়েছে স্ট্রেস, পদার্থের অপব্যবহার, অনিদ্রা ও হতাশা। এখানেই শেষ নয়। ঘাড় ঝাঁকুনি, হঠাৎ ঘাড় মোচড়ানো, জিমিংয়ের সময় রিগ্রেসিভ নেক এক্সারসাইজ এবং সেলুনে ঘাড়ের অস্বাভাবিক নড়াচড়া ইত্যাদিও স্ট্রোকের কারণ হতে পারে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে হঠাৎ স্ট্রোকের আশঙ্কা কমানো সম্ভব। এমনটাই মনে করেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী ৩ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ১ জনকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ। এই সমস্যার ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর, কিডনির ক্ষতি এবং অন্যান্য অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়।
বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রায় অর্ধেক মানুষ নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত নন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্কদের তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)