বৃহঃস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ডালিম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি ফল। সুস্বাদু এই ফল রয়েছে অনেকেরই পছন্দের তালিকায়। ডালিম খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কী ঘটে যদি প্রতিদিন একটি করে ডালিম খাওয়া হয়? প্রতিদিন ডালিম খাওয়া কি উপকারী? চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন একটি করে ডালিম খেলে শরীরে কী ঘটে-
হার্ট ভালো রাখে
প্রতিদিন ডালিম খাওয়া বা এর রস পান করা হার্টের জন্য দুর্দান্ত হতে পারে। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেস থেকে ডালিম সুরক্ষা- শীর্ষক ২০১২ সালের একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, ডালিম খেলে তা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ধমনীকে রক্ষা করতে পারে। এর অর্থ এটি শরীরকে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে, ডালিমের রস কোলেস্টেরল জমার সম্ভাবনা কমায়, রক্তনালীতে অস্বাস্থ্যকর চর্বি তৈরি রোধ করে এবং এথেরোস্ক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমায়। এথেরোস্ক্লেরোসিস হলো এমন এক সমস্যা যেখানে ধমনী আটকে শক্ত হয়ে যায়।
ত্বক ভালো রাখে
আনার বা ডালিম অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন এই ফল খেলে তা ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। সেইসঙ্গে কোলাজেন গঠন বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের অক্সিডেটিভ ক্ষতি কমাতে সাহায্য করে। এটি আপনার ত্বককে আরও উজ্জ্বল দেখাবে এবং বার্ধক্য কমাবে।
স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে
২০১৩ সালে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন ডালিম খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন ডালিম খেলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং কার্য-সম্পর্কিত মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়, গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।
হজম স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ডালিম দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবার সমৃদ্ধ, এর বীজ প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। তাই ডালিম খেলে তা হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। ২০১৭ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডালিম বা এর রস পান করলে তা প্রদাহজনক পেটের রোগ (IBD) এবং অন্যান্য অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য সহায়ক হতে পারে, কারণ এতে উচ্চ পলিফেনল থাকে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ডালিম একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। ২০১৪ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ডালিমে পাওয়া পলিফেনল প্রোস্টেট ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ধীর করতে সাহায্য করে। ইঁদুরের ওপর করা পরীক্ষায় গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন যে, ডালিম ফলের নির্যাস প্রোস্টেট-নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন (PSA) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং টিউমারের বৃদ্ধিও ধীর করে দেয়। প্রোস্টেট ক্যান্সারের পাশাপাশি ডালিমের কিছু যৌগ স্তন, ফুসফুস এবং ত্বকের ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দিতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)