শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সহজলভ্য একটি ফল কলা। অনেকেরই সকালের নাশতায় এই ফলটি থাকা চাই। পাউরুটি কিংবা ওটসের সঙ্গে এটি খাওয়া হয়। তবে কেউ কেউ আবার রোজ কলা খেতে বারণ করেন। তাদের মতে, প্রতিদিন কলা খেলে ওজন বেড়ে যায়। আদৌ কি তা সত্য? পুষ্টিবিদরা কী বলেন এ বিষয়ে?
পুষ্টির ভাণ্ডার কলা-
পুষ্টিবিদদের মতে, কলা পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ একাধিক ভিটামিন ও খনিজ। তাই নিয়মিত কলা খেলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটবে বলা যায়।
কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে সলিউবল ও ইনসলিউবল ফাইবার। এসব উপাদান অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে এর জুড়ি মেলা ভার। কলায় থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ রাখে নিয়মিত।
কলা খেলে কি ওজন বাড়ে?
প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় আছে মাত্র ৮০ থেকে ৯০ ক্যালোরি এবং ০.৩ থেকে ০.৪ গ্রাম ফ্যাট। এই পরিসংখ্যান দেখে সহজেই বোঝা যায় যে কলা খাওয়ার সঙ্গে ওজন বাড়ার সত্যিই কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকী কলা খেলে ফ্যাট বাড়ে বলে যে ধারণা প্রচলিত রয়েছে তারও কোনো বিজ্ঞানভিত্তি নেই। অর্থাৎ রোজকার ডায়েটে কলা রাখতেই পারেন।
দিনে কতগুলো কলা খাওয়া যাবে?
একজন সুস্থ মানুষ দিনে ১-২টি কলা খেতে পারেন। এতেই তার শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে। ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকবে না। তবে কেউ যদি দিনে দুটি কলা খান তবে সেইদিন আর অন্য কোনো ফল খাবেন না। এই নিয়ম মেনে চললেই ক্যালোরি ব্যালেন্স থাকবে। ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ওজন বেশি থাকলে কি কলা খাওয়া যাবে?
দেহের ওজন অতিরিক্ত হলে অবশ্যই কলা খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি কলা খাওয়া যাবে না। যেদিন কলা খাবেন সেদিন অন্য কোনো ফলও খাওয়া যাবে না। এই হিসেব মেনে চললেই ডায়েটে কলা রাখতে পারবেন।
তবে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকলে কলা না খাওয়াই ভালো। ঠিক একইভাবে কিছু হার্টের অসুখের ওষুধ এবং ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খেলেও এই ফল এড়িয়ে যেতে হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)