শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
গ্লুটাথিয়োন ত্বকের বয়স কমানোর জন্য একমাত্র মাধ্যম। যে কাচের মতো মসৃণ ত্বক কিংবা গ্লাস স্কিন নিয়ে এত হইচই, তা শুধু গ্লুটাথিয়োনের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তা একেবারেই ঝুঁকি মুক্ত নয়। তবে কৃত্রিমভাবে না নিয়ে প্রাকৃতিক উপাদান থেকেও সংগ্রহ করা যায় গ্লুটাথিয়োন। পুষ্টিবিদ শ্রেয়া চক্রবর্তী বলেছেন, গ্লুটাথিয়োনের জন্য প্রাকৃতিক উপাদানেও ভরসা করা যায়। এমন অনেক চেনা ফল বা শাকসবজি রয়েছে, যা ত্বকে গ্লুটাথিয়োনের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। যদিও কৃত্রিমভাবে গ্লুটাথিয়োনের ব্যবহার এফডিএ স্বীকৃত নয় বলেও ইতোমধ্যে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আর এক একটি ইনজেকশনের দাম কমপক্ষে ৯ হাজার টাকা। বয়স কমাতে নিয়ম করে এমন অনেক ইনজেকশন নিতে হয়। আর সেই ইনজেকশনের পেছনেই আপাতত পাগল গ্ল্যামার জগতের তারকারা, যার প্যাকেজ হচ্ছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর এই প্যাকেজেই নিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা। তার মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে গ্লুটাথিয়োন ইনজেকশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
অনেকেই বলেন, বয়স কমানোর চিকিৎসায় গ্লুটাথিয়োনের ভুল ব্যবহারেই শরীরে প্রতিক্রিয়া হয়েছে শেফালির। কিন্তু এই গ্লুটাথিয়োন আসলে কী, যে প্রাকৃতিকভাবে শরীরে পাওয়া সম্ভব?
গ্লুটাথিয়োন হলো— একটি নন-এনজাইম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যাকে অ্যান্টি-এজিং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বলা হয়ে থাকে। আর শরীর ভালো রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপকারিতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু সেই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেরও নানা প্রকারভেদ থাকে। তাদের কাজের ধরনও হয় আলাদা আলাদা। গ্লুটাথিয়োন ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কোন কোন খাবারে গ্লুটাথিয়োন পাওয়া যায় জেনে নিন—
সালফার আছে এমন খাবারে শরীরে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। তাই যেসব খাবারে সালফার রয়েছে, যেমন— পেঁয়াজ, রসুন, ব্রোকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালংশাক, ডিম, মুরগির মাংস, ডাল, বিনস ইত্যাদি গ্লুটাথিয়োন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ শ্রেয়া।
আর ভিটামিন সি, কারকিউমিন, পলিফেনল, সেলেনিয়াম আছে এমন খাবার যেমন— কমলালেবু, পাতিলেবুর মতো ভিটামিন 'সি' সমৃদ্ধ খাবার, পলিফেনলে ভরপুর গ্রিন টি, সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ মাশরুম, ভিটামিন ই-তে ভরপুর সূর্যমুখীর বীজও ত্বকে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
এ ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে গ্লুটাথিয়োন উৎপাদনে সাহায্য করে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— অ্যাভোকাডো, অ্যাসপারাগাস ও জুকিনির মতো ফলও।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)