সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো প্রোটিন। এটি শুধু শরীরে পেশি তৈরি করে না, বরং হাড়, ত্বক, চুল ও মস্তিষ্ককে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর প্রাপ্তবয়স্ক নারীর দিনে অনন্ত ৪৬ গ্রাম এবং পুরুষের ৫৬ গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।
আর যদি শরীর নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রোটিন না পায়, তাহলে ধীরে ধীরে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজন হয়—ডাল, ডিম, দুধ, মাছ ও মুরগির মাংস, সয়া ও পনির, বাদামসহ নানা ধরনের শুকনো ফল।
প্রোটিনের অভাবে ঘুমের পরও ক্লান্তিভাব দেয়। কারণ আপনি যদি অনেক ঘুমিয়েও থাকেন, তবু আপনার শরীর ক্লান্ত অনুভব করে। তাহলে ধরে নিন প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে। কারণ প্রোটিন শরীরে শক্তি তৈরিতে সহায়তা করে— ঘাটতি হলে দেখা দেয় দুর্বলতা ও মানসিক অবসাদ। আর সেই সঙ্গে প্রোটিনের অভাবে চুল পাতলা হয়ে যায়, ত্বক শুষ্ক হয় এবং নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়ে।
আর প্রোটিনে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ কেমিক্যাল ডোপামিন ও সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। এর অভাবের কারণে আপনার মনমেজাজ খারাপ বা বিষণ্ণতা থাকে। খিটখিটে হয়, দুঃখবোধ কিংবা হতাশা দেখা দিতে পারে।
যদি আপনার শরীরে ফোলা ভাব দেখা দেয়। যেমন হাত, পা কিংবা পেট অস্বাভাবিক ফোলা। তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরে প্রোটিনের অভাব রয়েছে। আর প্রোটিন রক্তে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। ঘাটতি হলে সেই ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। সে কারণে টিস্যুতে পানি জমে শরীর ফুলে যায়।
আর পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে প্রোটিন। ঘাটতি হলে ক্ষুধা লাগে বারবার এবং অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে। অনেক সময় এ বিষয়টি আমরা হালকাভাবে নিয়ে থাকি কিন্তু তা উপেক্ষা করলে এতে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়; বিশেষ করে কোয়াশিওরকরের মতো পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)