সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
সকালে ঘুম থেকে উঠে পেটে গ্যাসের উপস্থিতির অনুভূতির সঙ্গে কম-বেশি আমরা সবাই পরিচিত। এটি কেবল শারীরিক অস্বস্তি নয়, বরং মেজাজ খিটখিটে করে দেয়, আত্মবিশ্বাসের ক্ষতি করে এবং কাজে মনোযোগ দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। সকালে এই গ্যাসের সমস্যার কারণে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা দেয় সমস্যা। খেলেও তা হজম হতে চায় না। কিছু অভ্যাসে পরিবর্তন এনে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ভেষজ চা পান করুন
এক কাপ ভেষজ চা সকালে পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পুদিনা, আদা, মৌরি, ক্যামোমাইল, ধনিয়াপাতা, হলুদ এবং মৌরির মতো চায়ের প্রাকৃতিক কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার অর্থ হলো এগুলো পরিপাকতন্ত্রের পেশী শিথিল করতে এবং গ্যাসের প্রবাহকে সহজ করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, পুদিনাপাতা অন্ত্রের খিঁচুনি কমাতে পরিচিত, অন্যদিকে মৌরির বীজ আটকে থাকা বাতাসকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে।
২. কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন
শরীরের নড়াচড়া অন্ত্রের গতিশীলতা বাড়ায়। মূলত এটি পরিপাকতন্ত্রকে সচল রাখতে সাহায্য করে। এমনকি ১০ মিনিটের হালকা হাঁটাও পেটের গ্যাস সাহায্য করতে পারে। আপনার ডায়াফ্রামকে উদ্দীপিত করতে গভীর, স্থির শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন এবং আপনার পরিপাক অঙ্গগুলিকে ভেতর থেকে আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
৩. হাইড্রেট থাকুন
পানি পেটের আস্তরণকে প্রশমিত করে। বিশেষ করে হালকা গরম পানি এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী। অন্যদিকে লেবু পানি বা হালকা ভেষজ ইনফিউশন অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে এবং মল চলাচলে সহায়তা করে মৃদু ডিটক্স প্রভাব যোগ করতে পারে। তাই শরীরে পানির ঘাটতি যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৪. ধীরে ধীরে খান
সকালের খাবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সারাদিনের জন্য আপনাকে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে খাবার খেলে পাচনতন্ত্রে অপ্রয়োজনীয় বাতাস প্রবেশ করতে পারে। খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এর অর্থ হলো, আপনার পাচনতন্ত্র কম পরিশ্রম করে গ্যাস গঠন হ্রাস করে। সকালের নাস্তায় অতিরিক্ত খেলেও গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই পরিমিত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)