রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি- সংগৃহীত
যেকোনো উৎসব বা বিশেষ দিনে নিজেকে সুন্দর দেখাতে বেশিরভাগ নারীই মেকআপের আশ্রয় নেন, সাজগোজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। কিন্তু এই মেকআপের বেস যদি ঠিকঠাক না হয় তাহলে পুরো লুকই হয়ে যায় ফিকে। বলছিলাম ফাউন্ডেশনের কথা।
স্কিন টোন আর আন্ডারটোনের সঙ্গে মানানসই শেডে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলেই মেকআপের সৌন্দর্য ঠিকঠাকভাবে ফুটে ওঠে। ভুল শেড ব্যবহার মুখ ধবধবে লাগতে পারে কিংবা ম্লানও দেখাতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন ফাউন্ডেশনের কোন শেডটি আপনার জন্য পারফেক্ট? চলুন সহজ কিছু নিয়ম জেনে নিই-
১. নিজের স্কিন টোন চিনুন
ফাউন্ডেশন কেনার আগে জানুন আপনার স্কিন টোন কী? ফেয়ার (উজ্জ্বল), মিডিয়াম (গমগমে) নাকি ডাস্কি (শ্যামলা/গাঢ়)? নিজের স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন কিনতে হবে।
২. আন্ডারটোন নির্ধারণ করুন
আন্ডারটোন বলতে ত্বকের ভেতরের হালকা রঙকে বোঝানো হয়। কুল, ওয়ার্ম ও নিউট্রাল এই তিন আন্ডারটোন হয়। এটিও জানা জরুরি।
৩. টেস্টিং সঠিক জায়গায় করুন
ফাউন্ডেশন কেনার সময় টেস্ট করে নিন। তবে হাত বা গলায় নয়, জ-লাইন (Jawline) বেছে নিন এই টেস্টের জন্য। যে শেডটি গায়ের রঙের সঙ্গে সুন্দরভাবে ব্লেন্ড হবে বা মিশে যাবে, সেটিই পারফেক্ট ম্যাচ।
৪. আলোও গুরুত্ব
শুধু দোকানের লাইটে বা ছবি দেখে নয়, প্রাকৃতিক আলোতেও ফাউন্ডেশন টেস্ট করে নিন।
৫. মরসুমের কথা মাথায় রাখুন
গ্রীষ্মে রোদে ত্বকে সামান্য ট্যান পড়ে অর্থাৎ কালো হয়ে যায়। আবার শীতে ফর্সা দেখাতে পারে। তাই মরসুমভেদে হালকা-গাঢ় দুই শেডের ফাউন্ডেশন রাখাই ভালো।
৬. ভালো ফিনিশিং
অয়েলি স্কিনের জন্য বেছে নিন ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন। ড্রাই স্কিনে ডিউই/গ্লোই ফিনিশ ব্যবহার করলে ফ্রেশ লুক মেলে। সব স্কিন টাইপে ন্যাচারাল লুক পেতে সাটিন ফিনিশ প্রয়োজন।
মাথায় রাখবেন, ফাউন্ডেশন এক শেড হালকা নিলে মুখ সাদা দেখাবে, আবার গাঢ় নিলে দেখতে ম্লান লাগবে। প্রয়োজন হলে ফাউন্ডেশনের দুটো শেড মিশিয়ে নিজের পারফেক্ট ম্যাচ তৈরি করতে পারেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)