শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
স্বাদে তেতো হলেও করলার উপকারিতা কিন্তু বেশ মিষ্টি। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ কার্যকরী একটি সবজি। কিন্তু এত উপকারিতার পরেও এই সবজি অনেকের কাছে পছন্দের নয় কেবল তেতো স্বাদের জন্য। তাহলে কি এই পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন? একদমই নয়। একটুখানি কৌশল শিখে নিলেই করলার তেতো স্বাদ অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। চলুন তবে উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক-
১. লবণ ব্যবহার-
লবণ তো রান্নায় স্বাদ আনতে ব্যবহার করা হয়, এটি ছাড়া সব খাবারই পানসে লাগে। কিন্তু এটি যে করলার তেতো স্বাদ দূর করার কাজেও ব্যবহার করা যায় তা কি জানতেন? করলার তেতো ভাব দূর করতে এটি কিছুক্ষণ লবণ মিশ্রিত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এটি ফ্ল্যাভোনয়েড শোষণে সাহায্য করে, যার ফলে করলার তেতো ভাব কম হয়।
২. পানিতে ভিজিয়ে রাখুন-
প্রথমে করলা ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নিন। এরপর সেই টুকরাগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এভাবে রেখে দিন ঘণ্টা দুয়েক। এর মানে যখন রান্না করবেন তার দুই ঘণ্টা আগেই কেটে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পানি ফেলে করলা রান্না করে নিন। এটি আর আগের মতো অতোটা তেতো লাগবে না।
৩. আমচুর বা লেবু ব্যবহার-
করলার তেতো ভাব দূর করার জন্য এই সবজি রান্নার সময় বিভিন্ন উপকরণ মেশাতে পারেন। তবে যেকোনো উপকরণ মেশালেই তা খেতে ভালোলাগবে না বা তেতোভাবও দূর হবে না। বরং জানতে হবে কোন উপকরণটি এক্ষেত্রে কার্যকরী। আপনি যদি করলার তেতো স্বাদ দূর করতে চান তবে এটি রান্নার সময় আমচুর গুঁড়া বা লেবু ব্যবহার করতে পারেন। এতে তেতো স্বাদ তো দূর হবেই, সেইসঙ্গে বাড়তি স্বাদও যুক্ত হবে।
৪. খোসা ছাড়িয়ে রান্না করুন-
আরেকটি উপায় রয়েছে করলার তেতো স্বাদ কমিয়ে আনার। এটি সবচেয়ে সহজ। সেটি হলো এর খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া। যদিও এর খোসা না ছাড়িয়েই খাওয়া হয় এবং এটি তুলনামূলক বেশি স্বাস্থ্যকরও। কিন্তু আপনি যদি তেতো স্বাদের কারণে উপকারী এই সবজি একেবারেই না খান তাহলে খোসা ছাড়িয়ে রান্না করুন। এটি করলায় নতুন স্বাদ দেবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)