শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড (ইউপিএফ) বা অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবার হৃদরোগ, ক্যানসার, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং অকাল মৃত্যুর উচ্চঝুঁকিসহ মানবস্বাস্থ্যের ৩২টি ক্ষতিকারক প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
এটি আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গবেষণা বলে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডের মধ্যে রয়েছে- সিরিয়াল (দানাদার খাবার), প্রোটিন বার, কোমল পানীয়, প্যাকেটজাত খাবার এবং ফাস্টফুড।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গড় খাদ্যের অর্ধেকেরও বেশি আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড। বিশেষ করে অল্পবয়সি, দরিদ্র বা সুবিধাবঞ্চিত এলাকার বাসিন্দাদের খাদ্য তালিকার ৮০ শতাংশ আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড।
গবেষকরা জানান, প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষের ওপর পরিচালিত এ গবেষণার বিস্তারিত প্রতিবেদন মেডিকেল জার্নাল বিএমজে-তে প্রকাশিত হয়েছে। উচ্চমাত্রার আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড মানবস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে, ফলে মানুষের খাদ্য তালিকা থেকে আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডের পরিমাণ কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ, ইউনিভার্সিটি অব সিডনি এবং ফ্রান্সের সোরবোন ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা এ গবেষণায় জড়িত ছিলেন।
বিএমজে-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, সামগ্রিকভাবে অকাল মৃত্যু, ক্যানসার ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য সমস্যাসহ মানবস্বাস্থ্যের ৩২টি ক্ষতিকারক প্রভাবের সঙ্গে আল্ট্রা-প্রসেসড ফুডের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
প্যাকেটজাত খাবার ও স্ন্যাকস, কোমল পানীয়, চিনিযুক্ত সিরিয়াল এবং রেডি-টু-ইট বা প্রস্তুতকৃত খাবারসহ আল্ট্রা-প্রসেসড ফুড একাধিক শিল্প প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং প্রায়শই এগুলোতে রঙ, ইমালসিফায়ার, ফ্লেভার ও অন্যান্য উপাদান যোগ করা হয়।
এসব পণ্যে অতিরিক্ত চিনি, চর্বি ও লবণ বেশি থাকলেও ভিটামিন এবং ফাইবার খুব একটা থাকে না বললেই চলে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)