শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে নাকাল দেশবাসী। গরমের কারণে অসুস্থ হচ্ছেন অনেকে। এই সময় কিছু রোগব্যাধি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এসব রোগ সম্পর্কে জানা এবং সচেতন হওয়া জরুরি। চলুন গ্রীষ্মের কিছু রোগ সম্পর্কে জেনে নিই-
পানিশূন্যতা
গরমে প্রচুর ঘাম হয়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, রক্তচাপ কমে যায়। কেউ কেউ অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন। ক্ষেত্রবিশেষে কিডনিও আক্রান্ত হতে পারে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর পানি ও পানিজাতীয় খাবার খান।
জ্বর
আবহাওয়ার কারণে গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। এই সুযোগটাই নেয় নানা ভাইরাস। তাই গরমে ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ থাকে বেশি। এমনকি গরমে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুর মতো মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। এছাড়া এসময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে।
জ্বর হলে প্যারাসিটামল খাবেন। একইসঙ্গে খেতে হবে প্রচুর পানি ও ফলের রস। গরমের জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই।
হিটস্ট্রোক
অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এটি ভয়ঙ্কর একটি সমস্যা। প্রথমে হিট ক্র্যাম্প হয়। শরীর ব্যথা করে, পিপাসা লাগে, শরীর দুর্বল অনুভূত হয়। এরপর দেখা দেয় হিট একজশন। এই অবস্থায় রোগীর শ্বাসকষ্ট হয়, মাথাব্যথা করে, চেতনা লোপ পেয়ে আবোলতাবোল কথা বলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হয়। নয়ত রোগীর শরীরে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা কাজ করে না। রোগীর ঘাম বের হয় না। তখন শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
অনেকক্ষেত্রে তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটও ছাড়িয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক ও লাল হয়ে যায়। রক্তচাপ কমে যায় এবং নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দুর্বল হয়ে যায়। একপর্যায়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। রোগীকে দ্রুত আইসিইউতে নিতে না পারলে রোগী মারা যেতে পারেন।
পেটের অসুখ
গরমে পিপাসা মেটাতে অনেকেই রাস্তার পাশে বানানো বিভিন্ন ধরনের শরবত খান। এগুলো পানিবাহিত রোগের অন্যতম উৎস। এসব পানীয় টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিসের মতো রোগের কারণ হতে পারে। তাই বাইরের পানি বা শরবত পান থেকে বিরত থাকুন।
ত্বকের অসুখ
শরীরের পাশাপাশি গরমে ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে কারো কারো ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ত্বকে ফুসকুড়ি, লাল লাল র্যাশ, চুলকানি হতে পারে। গরমে ঘামাচি হওয়া ত্বকের একটি অতি সাধারণ সমস্যা। এসময় শরীরে জমে ফাঙ্গাল ইনফেকশন হতে পারে। সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)