শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দৌড় এমন এক ব্যায়াম, যার জন্য বাড়তি কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন নেই। কেবল জায়গা পেলেই হলো। ধরা যাক, আপনি সারা দিন শরীরচর্চার জন্য খুব একটা সময় পান না। তাহলে কেবল ১০ মিনিট সময় দৌড়ান। জেনে অবাক হবেন, এই ১০ মিনিটের দৌড়েই আপনার হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে যাবে অনেকটাই।
হৃৎপিণ্ড থাকবে সচল ও কর্মক্ষম। সুস্থ থাকার জন্য রোজ অন্তত ১০ মিনিট দৌড়াতেই পারেন আপনি। তবে একবার অভ্যাস হয়ে গেলে অল্প অল্প করে সময়টাকে বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। দৌড় আসলেই দারুণ এক ব্যায়াম।
দৌড়ের আগে-পরে কিংবা মাঝের বিরতিতে হাঁটাহাঁটি ও অন্যান্য ব্যায়ামও করতে পারেন। এভাবে বৈচিত্র্য আনলে শরীরচর্চার নিয়মের মধ্যে থাকা সহজ হয়।
শরীরচর্চার অভ্যাস না থাকলে কিংবা দীর্ঘমেয়াদি কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে দৌড় শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া ভালো।
জেনে নেওয়া যাক দৌড়ের নানা উপকারিতা-
ভালো ঘুম
ঘুমের সময় দেহের ‘মেরামতি’ চলে। তাই ঘুম ভালো হলে ওঠার পর সতেজ লাগে। ভালো ঘুম পেতে দৌড়াতে পারেন রোজ। তবে দিনের শেষ ভাগে বা রাতে দৌড়ালে অবশ্য উল্টোটাও হতে পারে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
দৌড়ালে স্বাভাবিকভাবেই ক্যালরি খরচ হয়। তাই খাবারদাবারের পরিমাণ ঠিক রাখলে দৌড়ের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণও করতে পারেন।
পিঠ ও হাঁটুর সুস্থতা
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পিঠ ও হাঁটুব্যথার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু নিয়মিত দৌড়ালে পিঠ ও হাঁটুর সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
স্মৃতি ও মনোযোগ
নিয়মিত দৌড়ালে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। অনেকেরই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাঁরা কিন্তু দৌড়ানোর অভ্যাস করতে পারেন। দৌড়ালে মনোযোগও বাড়ে।
ভালো বোধ করা
‘ভাল্লাগে না, ভাল্লাগে না’—মাঝেসাঝে অনেকেরই এমন একটা অনুভূতি হয়ে থাকে। শরীর সুস্থ, মন সুস্থ, বড়সড় কোনো দুঃখ নেই, তবু এই অনুভূতি। গবেষণা বলছে, দৌড়ালে মেজাজ ভালো থাকে। অর্থাৎ, আপনি ভালো অনুভব করেন।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা
সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন দৌড়ালে আপনার শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে। শরীর ম্যাজম্যাজ করছে? ৩০ মিনিট দৌড়ে আসুন। অনেকটাই সুস্থ বোধ করবেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)