শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইদানীং কিডনিজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। কিডনিতে পাথর, পানি জমে যাওয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। দৈনন্দিন জীবনের কিছু অনিয়মই কিডনি সমস্যার জন্য দায়ী। পানি কম পান করলে, ক্রমাগত বাইরের খাবার খেলে, তেল-মশলাজাতীয় খাবার বেশি খেলে কিডনি খারাপ হতে শুরু করে।
সুস্থ থাকতে অবশ্যই কিডনির যত্ন নিতে হবে। কিডনির ওপরই নির্ভর করে সার্বিক সুস্থতা। কর্মব্যস্ততার কারণে অনেকেই আলাদা করে নিজের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না। এতেই বাড়ে বিপত্তি। রোজকার কোন অভ্যাসগুলো মেনে চললে কিডনি ভালো থাকবে, চলুন জেনে নিই-
পর্যাপ্ত পানি পান
রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। একজন চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নিন আপনার শরীরের কতটুকু পানি প্রয়োজন। সেই অনুপাতে পানি পান করুন।
শরীরে কোনো ক্রনিক অসুখ থাকলে জল খাওয়ার বিষয়টিতে নিয়ন্ত্রণ আনা জরুরি। সেক্ষেত্রে পানি বেশি খেলে কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে।
সময়মতো প্রস্রাব করা
কিডনিতে সংক্রমণের অন্যতম কারণ হলো প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা কাজের চাপে থাকায় অনেকে প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাসের কারণে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বেশিক্ষণ প্রস্রাব ধরে রাখলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় ও দীর্ঘ সময় ধরে টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই সব সময়ে চেষ্টা করুন ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনও ভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভাল রাখতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন। এর জন্য রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি, শরীরচর্চা আর খাবারে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি।
ব্যথানাশক ওষুধ কম খাওয়া
অনেকেরই মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকে। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যার কারণ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই কোনোরকম অ্যান্টি বায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন বেশি হয়ে গেলেও তার চাপ পড়ে কিডনির ওপর। তাই সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। কিডনি ভালো রাখতে চাইলে রোজ ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার অভ্যাস শুরু করতে হবে।
কিডনি সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগলে অবহেলা করবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)