শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মৌসুমি ফল আম। যা এখন বাজারে সয়লাব। দামও হাতের নাগালে। তাই অনেকেই সাত-পাঁচ না ভেবে প্রচুর আম খাচ্ছেন। অথচ প্রচুর পরিমানে আম খেলে একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বেশি বেশি আম খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানুন।
পেটের সমস্যা হয়
এমনিতে আম পেটের জন্য খুবই উপকারী। কারণ, এই ফলে রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান অন্ত্রের হাল ফেরানোর কাজে একাই একশো। কিন্তু তাই বলে আপনি যদি দিনে একাধিক আম খান, তাহলে এই উপকারী ফাইবারই পেটের বারোটা বাজিয়ে দেবে। কারণ, এই ফলে মজুত ফাইবার হজম করা খুবই কঠিন কাজ। আর এই কারণে একাধিক আম খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা নিতে পারে পিছু। তাই পেটকে সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে রোজ রোজ একাধিক আম খাওয়া চলবে না।
আম ওজন বাড়ায়
আমের ক্যালোরি ভ্যালু খুব একটা বেশি নয়। তাই প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে আম খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। তবে রোজ রোজ যদি একাধিক আম খেয়ে রসনাবিলাস করেন, তাহলে যে অচিরেই বাড়বে ওজন। আর একবার মেদের বহর বাড়লে পিছু নিতে পারে ডায়াবেটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা। তাই চেষ্টা করুন রোজ একটা আম খাওয়ার মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখার। এই নিয়মটা মেনে চললেই অনায়াসে ওজনকে স্বাভাবিকের গণ্ডিতে আটকে রাখতে পারবেন।
আরও পড়ুন : ভাজাভুজি খাবার বাড়ায় মানসিক চাপ, বলছে গবেষণা
বাড়তে পারে সুগার
ডায়াবেটিস একটি জটিল অসুখ। এই রোগকে বশে না রাখলেই বিপদ! সেক্ষেত্রে কিডনি, চোখ, হার্টের মতো দেহের একাধিক অঙ্গের বেজে যেতে পারে বারোটা। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু কিছু খাবার কম খেতে বলা হয়। আর এই তালিকায় আমের নামও রয়েছে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে প্রতিদিন আম খাওয়া চলবে না। এই ভুলের ফাঁদে পা দিলে কিন্তু সুগার এক ধাক্কায় বেড়ে যাবে।
আর যাদের বর্ডার লাইন সুগার রয়েছে, তারা যদি রোজ রোজ আম খান, সেক্ষেত্রে কিছুদিনের মধ্যেই পিছু নিতে পারে এই ক্রনিক রোগ। তাই আজ থেকেই সাবধান হন।
মুখের বেজে যেতে পারে বারোটা
আমে রয়েছে উরুশিওল নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদানের কারসাজিতে জিভ এবং ঠোঁট জ্বালা করতে পারে। এমনকি হতে পারে চুলকানি। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা হয়, তারা ভুলেও দিনে একাধিক আম খাবেন না। তার বদলে রোজ একটা আম খাওয়ার মধ্যেই নিজেকে আটকে রাখুন। এই কাজটা করলে এসব বিপদের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে না। উল্টে একাধিক উপকারই পাবেন।
ভিটামিন এ টক্সিসিটি
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরের ভিটামিন এ-এর প্রয়োজন। আর ভালো খবর হল, আমাদের অতি প্রিয় আমে এই ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। কিন্তু তাই বলে আবার রোজ রোজ একাধিক আম খেয়ে রসনাতৃপ্তি করবেন না। এই ভুলটা করলে কিন্তু শরীরে ভিটামিন এ-এর ওভার ডোজ হবে। যার ফলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, চোখে আবছা দেখার মতো সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই এবার থেকে আম খাওয়ার সময় এই বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখুন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)