শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ছেলে থেকে বুড়ো- আইসক্রিম খেতে কার না ভালো লাগে। যদিও ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে অনেক সময়ে বাড়ির শিশুদের হাত থেকে আইসক্রিম কেড়ে নেন অভিভাবকেরা। কিন্তু সেই আইসক্রিম যে তলে তলে বাড়ির বড়দের হার্টেরও ক্ষতি করতে পারে, সে খবর রাখেন?
আনন্দের খবর পেয়ে মিষ্টিমুখ করতে হলেও তো আইসক্রিম খান অনেকে। অনেকে আবার গরম থেকে রেহাই পেতেও আইসক্রিম খান। অথচ আইসক্রিম খাওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো জানেন না অনেকেই।
চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত আইসক্রিম খেলেই মোটা হবেন। তার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে। কারণ, আইসক্রিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া কৃত্রিম শর্করা তো আছেই। মূলত এই দুইটি জিনিসের জন্য কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ, স্থূলত্ব, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি খেলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে তা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে হার্টের ধমনী পুরু হতে শুরু করে। ফলে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত না পৌঁছলে হার্ট অ্যাটাক হতেই পারে। আর অতিরিক্ত শর্করা যে ডায়াবেটিকদের জন্য ক্ষতিকর তা তো সকলেই জানেন। কিন্তু যাঁদের সেই সমস্যা নেই, তাদের রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
এখন তো বাজারে নানা ধরনের আইসক্রিম পাওয়া যায়। কোনওটিতে মিষ্টি কম, কোনওটি ‘আবার ফ্যাট-ফ্রি’। চাইলে তেমন আইসক্রিম খেতে পারেন। তবে আইসক্রিম রোজ না খাওয়াই ভালো। একেবারে লোভ সংবরণ করতে না পারলে মাসে দুইবার আইসক্রিম খাওয়া যেতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)